হারিস-সরফরাজ, ব্যাক আপ কিপারের লড়াই

অভিজ্ঞতা নাকি তারুণ্য – যেকোনো সময় দল ঘোষণার ক্ষেত্রে বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায় এটি। কেউ মনে করেন অভিজ্ঞতাকেই প্রাধান্য দেয়া উচিত, কারো ভরসা তরুণদের উপর।

তবে, পাকিস্তানের রশিদ লতিফ অভিজ্ঞতাকেই দিয়েছেন নিজের ভোটটা। তাঁর মতে বড় মঞ্চে চাপের মুহুর্তে অভিজ্ঞ ক্রিকেটাররাই হতে পারেন সেরা পছন্দ।

প্রায় দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছে এশিয়া কাপ; আর দিন কয়েক পরেই মাঠে গড়াবে মহাদেশীয় শ্রেষ্ঠত্বের এই টুর্নামেন্ট। এশিয়ান দলগুলো তাই ইতোমধ্যে ঘোষণা করেছে তাঁদের স্কোয়াড; পাকিস্তানও সেটার ব্যতিক্রম নয়, সতেরো সদস্যের নাম জানিয়ে দিয়েছে তাঁরা।

পাকিস্তানের এশিয়া কাপ দলে রাখা হয়নি উইকেটরক্ষক সরফরাজ খানকে; বিকল্প হিসেবে সুযোগ পেয়েছেন মোহাম্মদ হারিস। তাই আন্দাজ করা যায় বিশ্বকাপ পরিকল্পনাতেও সরফরাজের চেয়ে এগিয়ে আছেন হারিস। আর এতেই দ্বিমত পোষণ করেছেন রশিদ লতিফ।

তিনি বলেন, ‘মোহাম্মদ হারিস একটি অত্যন্ত প্রতিভাবান খেলোয়াড়। কিন্তু বিশ্বকাপের পর তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ার শুরু হওয়া উচিত। সে দুই বছর ধরে দলের সাথে ছিলেন কিন্তু খুব বেশি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেনি। তাই হারিসের চেয়ে সরফরাজের দলে জায়গা বেশি যৌক্তিক।’

সাবেক এই ক্রিকেটার আরো যোগ করেন, ‘বিশ্বকাপের ফলাফল যাই হোক, আমরা জিতি বা হারি – আপনাকে দলে পরিবর্তন আনতে হবে। সৌদ শাকিল ও মুহাম্মদ হারিসের মত খেলোয়াড়দের বিশ্বকাপের পরেও এই ফরম্যাটে লম্বা ভবিষ্যত রয়েছে।’

রশিদ লতিফ মূলত সরফরাজ খানের অভিজ্ঞতার গুরুত্বের ওপর জোর দেন। এছাড়া নতুনদের জন্য সিনিয়র খেলোয়াড়দের বাদ দেয়ার সম্ভাব্য ক্ষতিগুলোও তুলে ধরেন তিনি।

পঞ্চাশ ওভারের ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখলেও মোহাম্মদ হারিস নিজের জাত চিনিয়েছেন টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। পরিসংখ্যানে বলার মত কিছু না থাকলেও সংক্ষিপ্ত এই সংস্করণের সাথে তাঁর খেলার ধরনে ব্যাপক মিল রয়েছে।

পাওয়ার প্লে কাজে লাগিয়ে বাউন্ডারি আদায়, দ্রুত রান তোলার ক্ষেত্রে দুর্দান্ত মোহাম্মদ হারিস। এসব ব্যাপারেও মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের কিংবদন্তি উইকেটরক্ষক রশিদ লতিফ।

তিনি বলেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্ট যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমরা তা সম্মান করি, তবে মতামত দেওয়া থেকে কেউ আমাদের আটকাতে পারে না। হারিস একজন দুর্দান্ত ব্যাটার যে ইদানীং টি-টোয়েন্টিতে দারুণ পারফর্ম করছে। তাছাড়া সে পাওয়ারপ্লেতে বিপজ্জনক খেলোয়াড়; স্ট্রাইক রেটও ঈর্ষণীয় ।তবে আমার বিশ্বাস ওয়ানডেতে তার ক্যারিয়ার শুরু হবে বিশ্বকাপের পর।’

হারিসের উপর অবশ্য আশাবাদী রশিদ লতিফ, তবে বিশ্বকাপের মত গুরুত্বপূর্ণ আসরে সরফরাজকেই ভরসা করেন তিনি। তিনি বলেন, ‘এশিয়া কাপেও সে(হারিস) অসাধারণ পারফর্ম করবে। তবে এখন সরফরাজ অভিজ্ঞ ক্রিকেটার, তাঁকে দলে নেওয়া উচিত ছিল। এমন একজনকে বাদ দিয়ে নবাগত কাউকে দলে নেয়া খুব সুবিধাজনক বলে মনে হচ্ছে না।’

বিশ্বকাপ অবশ্য খুব বেশি দূরে নয়। ফলে এই স্কোয়াড থেকে খুব বেশি বদল আনার সময় পাবে না কোন দেশ-ই। এক্ষেত্রে তাই হারিসকে সরিয়ে সরফরাজের সুযোগ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশ কম।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link