ঘটনার দু’দিন পরও হারমানপ্রীত কৌরের শাস্তি চূড়ান্ত হয়নি। এর মধ্যে ক্রিকেট বিষয়ক গণমাধ্যম ইএসপিএন ক্রিকইনফো জানাচ্ছে, দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হবেন ভারতীয় দলের এই অধিনায়ক।
ইতিহাসের প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে আইসিসির কোড অব কনডাক্টের লেভেল টু ভঙ্গ করার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। যদিও, আইসিসি এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি।
আসছে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরেই দেশের মাটিতে ভারতের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলবে ভারতীয় দল। সেই সিরিজে দু’টি ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার কারণে খেলতে পারবেন না হারমানপ্রীত।
হারমানপ্রীত মোট চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন। এর মধ্যে, তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন স্ট্যাম্প ভেঙে, আর একটি পেয়েছেন আম্পায়ারিংয়ের সমালোচনা করে। বিষয়টা নিয়ে আইসিসির সাথে কথা বলছে বিসিসিআই।
বাংলাদেশ নারী দলের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে, হারমানপ্রীত কৌরের ঘটনা মিরপুরে আগুন ঝরিয়েছে। মাঠেই আউট হয়ে ব্যাট দিয়ে স্ট্যাম্প ভেঙেছেন তিনি। পরে ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতে প্রশ্ন তুলেছেন আম্পায়ারিং নিয়ে।
তিনি বলেন, ‘এখানে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। মাঠের ক্রিকেটের বাইরে গিয়ে যদি বলি, আম্পায়ারিংয়ের যেমন নজির আমরা দেখলাম, সেটা দেখে তো আমরা বিস্মিত হয়ে গিয়েছি! পরেরবার বাংলাদেশে খেলতে আসার আগে এটার ব্যাপারে সতর্ক হয়ে আসতে হবে।
এখানেই শেষ নয়। বাংলাদেশের সাথে ট্রফি ভাগাভাগির ফটোসেশনেও আম্পারিং নিয়ে কথা বলেছেন। এমনকি কটুক্তি করেছেন বাংলাদেশের খেলোয়াড়দেরও। যেটার রেশ ছিল দু’দলের সংবাদ সম্মেলনেও।
বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি বলেন, ‘কিছু কথা হচ্ছিল। যে কারণে ওখানে থাকা উচিত মনে হয়নি। ক্রিকেট তো খুব রেসপেক্টের একটা জায়গা, ডিসিপ্লিনের জায়গা। এটা জেন্টেলম্যানের খেলা। ওখানে ওই পরিবেশ ছিল না।’
কি এমন বলেছিলেন হারমানপ্রীত, যাতে করে ট্রফি রেখেই দল নিয়ে চলে আসতে বাধ্য হলেন জ্যোতি। জ্যোতি নিজে এ ব্যাপারে কিছু বলেননি। তবে, হারমানপ্রীত নাকি বলেছিলেন, ‘তোমরা বরং আম্পায়ারদের সাথেই ছবি তোলো। ওরাও তো তোমাদের হয়েই খেলেছে।’