গেলবার শেষটা বাংলাদেশে সুখকর ছিল না চান্দিকা হাতুরুসিংহের। চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই বিদায় বলেছিলেন। তার ওপর সিনিয়র ক্রিকেটারদের সাথে সম্পর্কে ছেদ পড়েছিল তাঁর – তথ্যগুলো বাংলাদেশ ক্রিকেটে ওপেন সিক্রেট হলেও খোদ হাতুরু বলছেন ভিন্ন কথা।
তাঁর দাবি, গেল মেয়াদে কাজ করতে কোনো রকম বেগ পেতে হয়নি তাঁকে। বরং সিনিয়রদের সাথে বরাবরই বেশ সখ্যতা ছিল তাঁর। বাংলাদেশে পা রাখর পর প্রথম সংবাদ সম্মেলনে একরকম ডিগবাজিই খেলেন লঙ্কান এই কোচ।
সেই সময়ে দলে থাকা ক্রিকেটারদের দিকে আঙুল তুুলেছিলেন তিনি, বিশেষ করে সিনিয়র ক্রিকেটরাদর দিকেই ছিল তাঁর অভিযোগ। এ বার অবশ্য তিনি বলছেন, আগের বারও তাঁদের সঙ্গে কোনও সমস্যা ছিল না, এ বারও হবে না।
তিনি বলেন, ‘একদমই সমস্যা নেই। আমি সবার সঙ্গেই কথা বলেছি। সবার নজর এখন দলের ভালোর দিকে। প্রথম বারও কোনও চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হইনি। আমার চ্যালেঞ্জ ছিল দলের ভালোর দিকে সবার নজর রাখা।’
তবে, সিনিয়রদের প্রতি প্রত্যাশা আছে হাতুরুসিংহের। তিনি সবাইকে নিজেদের উজাড় করে দিয়ে খেলতে বললেন বাংলাদেশের হয়ে, ‘ওরা ১০-১৫ বছর ধরে ভালো করছে। আশা করি, সেটাই করে যাবে। যত দিন খেলবে, দলে থাকবে। আমার মনে হয় না, ওদের ভূমিকা বদলেছে। ওরা বিশ্বমানের খেলোয়াড়। আমার মনে হয় ওরা নিজেদের ভূমিকাটা জানে।’
সময় বদলেছে, বদলাননি কেবল হাতুরুসিংহে। তার মতে, স্রেফ বয়সটা একটু বেড়েছে, যখন এই চাকরি নেওয়ার ব্যাপারে ভেবেছি, বড় পরিসরে ভেবে এসেছি। শেষ বার যখন বাংলাদেশে এসেছিলাম, অনেকের সঙ্গে নিজেকেও দেখাতে হতো, আন্তর্জাতিক পর্যায়েও পারব। জানতাম না, কোথায় এসে পড়েছি। এ বার জানি, বাংলাদেশের ক্রিকেট কী ভাবে কাজ করে, এখন আমি নিজের ব্যাপারেও জানি অনেক। এখন অনেক বেশি অভিজ্ঞও।’
সর্বপরি, বাংলাদেশকে সাফল্য এনে দিতে উদগ্রীব এই কোচ। বললেন, ‘আমি অনেক সম্ভাবনা দেখেছি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য দেশের কোচদের উন্নতির ব্যাপারেও। সেটা করতেও সহায়তা করবে। ডেভিড মুর এসেছে, তিনি আমাকে সাহায্য করবেন। পরের প্রজন্মকে সামনে আনতে বোর্ডের সঙ্গে কাজ করব। আমার মূল লক্ষ্য অবশ্যই বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতানো। কিন্তু একই সঙ্গে কিছু ফিরিয়ে দিতে চাই, কিছু রেখে যেতে চাই।’
শেষটা যাই হোক না কেন, গেল বার বাংলাদেশকে নিজেদের ইতিহাসে সেরা সব স্মৃতি উপহার দিয়েই বিদায় বলেছিলেন হাতুরুসিংহে। এবারও কি তেমন কোনো চমকই অপেক্ষা করছে? হাতুরুর জাদুর কাঠিকে ফিরিয়ে আনার এটাই তো সবচেয়ে বড় কারণ।