বাবা মঈন খান ছিলেন পাকিস্তানের এক সময়কার জনপ্রিয় ক্রিকেটার। গ্লাভস হাতে দায়িত্ব পালন করতেন উইকেটের পেছনে। বাবার পদাঙ্ক অনুসরণ করে ছেলে আজম খানও হাঁটছেন ক্রিকেটের পথেই। এরই মধ্যে পাকিস্তানের হয়ে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে অভিষেক হয়েছে তাঁর। তবে নিজে ওজন নিয়ে বরাবরই সমালোচনার মুখে পড়েন এ ক্রিকেটার।
ফিল্ডিংয়ের ক্ষেত্রে এই স্থূলতা বড় এক ধরনের প্রতিবন্ধকতা। এটা মানছেন পাকিস্তানের বর্তমান প্রধান নির্বাচক ওয়াহাব রিয়াজ। আর তাই তিনি মনে করিয়ে দিলেন, আজম খানকে দলে নেওয়া হয় শুধু উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবেই।
এ নিয়ে পাকিস্তানের এক স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমে সাবেক এ ক্রিকেটার বলেন, ‘আজম খানকে একাদশে রাখা হলে তাঁকে শুধু উইকেটরক্ষক ব্যাটার হিসেবেই নেওয়া হয়, কোনো ফিল্ডার হিসেবে নয়।’
তবে আক্রমণাত্বক ব্যাটিং দিয়ে মঈন পুত্র পাকিস্তান ক্রিকেটে আলোচনায় আসলেও এখনও তাঁর ছিটেফোঁটা মেলেনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। এখন পর্যন্ত ৭ ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে মোটে ২৯ রান।
৯০.৬২ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং গড়টা যেখানে মাত্র ৪.৮৩। পাকিস্তানের হয়ে সর্বশেষ নিউজিল্যান্ড সিরিজেও তিনি দলে ছিলেন। তবে ৫ ম্যাচের সে সিরিজের প্রথম ৩ ইনিংস থেকে তাঁর ব্যাট থেকে আসে সর্বসাকূল্যে ২২ রান। আর এরপরই তিনি বাদ পড়েন একাদশ থেকে।
মাত্র ৭ ম্যাচের পারফরম্যান্স দিয়ে অবশ্য একজন ক্রিকেটারের সক্ষমতার সবটা বিচার করা যায় না। তবে চূড়ান্ত আনফিট আজমের প্রমাণ করার একমাত্র রসদ ছিল তাঁর ব্যাটিং। কিন্তু পাকিস্তানের জার্সি গায়ে সেই ব্যাট হাতেই ম্লান তিনি। তাই সমালোচনার জাল থেকে আপাতত রেহাই পাচ্ছেন না এ ক্রিকেটার।