উপরে অক্ষর, নিচে বুমরাহ – পাকিস্তানের পরাজয়ের নেপথ্যে

স্রেফ ১১৯ রানেই ভারত অলআউট হয়ে যাওয়ায় অনেকেই হয়তো পরাজয় অবধারিত ধরে নিয়েছিলেন। তবে অবিশ্বাস্য বোলিং নৈপুণ্য দেখিয়ে পাকিস্তানকে ছয় রানে হারিয়ে চমক সৃষ্টি করেছে জাসপ্রিত বুমরাহরা। তবে এমন জয়কে কেবল পারফরম্যান্স দিয়ে ব্যাখ্যা করা যায় না। এর পিছনে লুকিয়ে আছে ম্যাচের ফলাফল নির্ধারণী নানান ট্যাকটিক্স।

এই যেমন দুই ওপেনার দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরার পরেই অক্ষর প্যাটেলকে চার নম্বরে ব্যাট করতে পাঠানো হয়েছিল। তাঁকে ব্যাটিং অর্ডারে উন্নীত করার সিদ্ধান্ত দারুণভাবে কাজে দিয়েছে, ১৮ বলে ২০ রানের ছোট কিন্তু কার্যকরী একটা ইনিংস খেলেছিলেন তিনি। ঋষাভ পান্তকেও যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন এই অলরাউন্ডার।

এছাড়া বল হাতে বাঁ-হাতি ব্যাটারদের বিপক্ষে দারুণ মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন তিনি। এমনিতে বাঁ-হাতি ব্যাটারের বিপক্ষে বাঁ-হাতি বোলার মানে ব্যাটার দ্রুত রান করার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু এদিন ইমাদ ওয়াসিমদের রীতিমত গোল খাইয়ে ছেড়েছেন অক্ষর।

তবে ম্যাচের গতিপথ বদলে দেয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন বুমরাহ। তাঁকে যেভাবে ব্যবহার করা হয়েছে সেটি অধিনায়ক রোহিতের সমৃদ্ধ ক্রিকেট মস্তিষ্কের সাক্ষ্য দেয়।

পাকিস্তান যখনই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে চেয়েছিল তখনই বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন এই পেসার; বিশেষ করে শেষ দুই ওভারে মাত্র ছয় রান দিয়ে দুই উইকেট শিকার করেছেন তিনি, এর ফলেই মূলত জিতেছে টিম ইন্ডিয়া।

এছাড়া মোহাম্মদ রিজওয়ানের অতিরিক্ত ধীর গতির ব্যাটিং পাকিস্তানের পরাজয়ের অন্যতম কারণ। পাওয়ার প্লেতে ২৩ বলে ১৭ করা সত্ত্বেও পরের ২১ বলে মাত্র ১৪ রান করতে পেরেছেন তিনি। আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশের ব্যাটাদের মাঝে তৃতীয় সর্বনিম্ন স্ট্রাইক রেটে ত্রিশোর্ধ ইনিংস খেলার অনাকাঙ্ক্ষিত কীর্তি এখন তাঁর দখলে।

যদিও এই দ্বৈরথে ভারতের মিডল অর্ডার নেতিবাচক ভূমিকাতে আবির্ভূত হয়েছে। পান্ত বড় রান করলেও অসময়ে আউট হয়েছেন বাজে শট খেলে, এছাড়া শিভাম দুবে, সুরিয়াকুমার যাদবরাও পরিস্থিতি না বুঝে ক্যাচ তুলে দিয়েছেন।

আবার হার্দিক পান্ডিয়া নিজে স্ট্রাইক নেয়ার পরিবর্তে বারবার লোয়ার অর্ডার ব্যাটারদের ঠেলে দিয়েছেন স্ট্রাইকের দিকে। ভারত হেরে গেলে তাই তাঁদের দিকে আঙুল তুলতেন বিশ্লেষকরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link