অসন্তোষজনক মিরপুরের উইকেট, মিলেছে ডিমেরিট পয়েন্ট

নিজেদের পাতা ফাঁদে বন্দী হয়েছে বাংলাদেশ। হেরেছে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। মিরপুরের স্পিনস্বর্গে ব্যাটারদের টিকে থাকতে করতে হয়েছে সংগ্রাম।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টেস্টে কোন ধরণের বাঁধা ছাড়া খেলা হয়েছে মোটে দুইদিন। শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে প্রথম দিন উইকেট পড়েছে ১৫টি। চতুর্থ দিনে সংখ্যাটি ছিল ১৪। তাতে করে উইকেটের দায়ভার ছিল অনেকাংশেই। তাইতো আইসিসির কাছ থেকে মিলেছে ডিমেরিট পয়েন্ট।

সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দারুণ এক জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ১৫০ রানের ব্যবধানে সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতে নিয়েছিল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। তবে এরপর মিরপুরে এসেই খাবি খেয়েছে দুই দল।

নিজেদের পাতা ফাঁদে বন্দী হয়েছে বাংলাদেশ। হেরেছে দ্বিতীয় টেস্ট ম্যাচ। মিরপুরের স্পিনস্বর্গে ব্যাটারদের টিকে থাকতে করতে হয়েছে সংগ্রাম। তবুও প্যাভিলনে ফিরে যেতে হয়েছে স্বল্প সময়ে। এর জন্যে অবশ্য ম্যাচ রেফারি ডেভিড বুন অপ্রস্তুত উইকেটকেই দোষারোপ করেছেন।

তার রিপোর্টে বলা হয়েছে মিরপুরের উইকেট পুরোপুরি প্রস্তুত ছিল না। উইকেটের উপরিভাগ স্রেফ হালকা এক ঘাসের আস্তরণে ঢেকে রাখা হয়েছিল। সময় গড়ানোর সাথে সাথে উইকেট বিরুপ আচরণ করতে শুরু করে। তাতে করে অসম বাউন্স দেখা গেছে পুরোটা সময় জুড়ে। সেজন্যে বলে বিস্ফোরক আচরণ করেছে ম্যাচ জুড়ে।

তাইতো আইসিসির পিচ এবং আউটফিল্ড মনিটরিং কমিটির পক্ষ থেকে মিরপুরের বাইশ গজকে ‘অসন্তোজনক’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, মিলেছে একটি ডিমেরিট পয়েন্টও। মিরপুরের উইকেট নিয়ে অসন্তুষ্টি ছড়িয়েছে সর্বত্রই। এমনকি সফরকারী অধিনায়ক টিম সাউদি মিরপুরের উইকেটকে নিজের দেখা সবচেয়ে বাজে উইকেট বলেও সম্বোধন করেছেন।

যদিও তাতে খুব একটা ভ্রুক্ষেপ নেই বাংলাদেশ দলের। তারা বরং এমন উইকেটেই খেলতে আগ্রহী। পেছনের কারণ ঘরের মাঠের পূর্ণ ফায়দা তুলে নেওয়া। তা করতে গিয়ে এমন বিচিত্র উইকেটে খেলতেও আপত্তি নেই শান্তদের। এমন বক্তব্যই এসেছে বাংলাদেশ দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়দের পক্ষ থেকে।

তবে নিজের ম্যাচ রিপোর্টে ডেভিড বুন মিরপুরের আউটফিল্ডের প্রশংসা করেছেন। কেননা একটানা বৃষ্টির পরও মাঠ খেলার উপযুক্ত হতে সময় লাগেনি খুব একটা। এই দিক থেকে শেরে বাংলা জাতীয় স্টেডিয়াম খানিকটা স্বস্তির কারণ।

তবে এমন উইকেটে নিয়মিত খেলা গড়ালে ডিমেরিট পয়েন্টের সংখ্যা বাড়তে পারে। পাঁচ বছরের মধ্যে কোন ভেন্যু ছয়টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে পরবর্তী এক বছরের জন্যে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হতে পারে সেই স্টেডিয়াম। আর চার পয়েন্ট পেলেই সে নিষেধাজ্ঞার সম্মুখীন হবে ‘হোম অব ক্রিকেট’।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...