ফিফা র্যাংকিংয়ে স্পেনের অবস্থান তৃতীয়, আর সার্বিয়া আছে ৩২ নাম্বারে। কাগজ কলমের হিসেবে প্রায় সবারই মনে হয়েছিল বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়বে ইউরো চ্যাম্পিয়নরা। কিন্তু অনিশ্চয়তার খেলা হয়েছে রোমাঞ্চকর লড়াই, শেষমেশ ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে তাঁদের।
ইউরোতে জার্মানি, ফ্রান্স কিংবা ইংল্যান্ড পারেনি স্পেনকে থামাতে; উয়েফা নেশন্স লিগের ম্যাচে সেটা ঠিকই করে দেখিয়েছে সার্বিয়া। র্যাংকিংয়ে ২৯ ধাপ এগিয়ে থাকা দলকে রুখে দিয়েছে তাঁরা।
স্প্যানিশরা খর্বশক্তির একাদশ নিয়ে মাঠে নেমেছিল সেটার ভাবার অবশ্য কারণ নেই। ইউরো জয়ের তিন কারিগর লামিন ইয়ামাল, নিকো উইলিয়ামস আর দানি অলমো শুরু থেকেই খেলেছেন। নিয়মিত নামের মধ্যে ছিলেন না কেবল রদ্রি আর গোলরক্ষক উনাই সিমন। সার্বিয়া অবশ্য এত সবের ধার ধারেনি, ৫-৪-১ ছকে পুরোপুরি রক্ষণ নির্ভর দল হিসেবে খেলেছে এদিন।
যদিও এতসব কিছুর পরেও স্পেন সুবিধা করতে পারেনি। উল্টো শুরুতেই গতি আর কৌশলে সার্বিয়া ভড়কে দেয় তাঁদের। এমনকি এগিয়ে যেতে পারতো তাঁরা, ৩৪ মিনিটের মাথায় লুকা জোভিচ অমার্জনীয় ভুলটা না করলেও পারতেন। নিশ্চিত গোলের সুযোগ পেয়েও তিনি বল মেরেছেন বাইরে দিয়ে। সেটাও আবার মাত্র আট গজ দূর থেকে! ফলে সে যাত্রায় এগিয়ে যেতে পারেনি দলটি।
এর বাইরে প্রথমার্ধের হাইলাইট বলতে কেবল হলুদ কার্ড, রেফারির নোটবুকে বার বার নাম তুলেছিলেন ফুটবলাররা। যদিও বিরতি কাটিয়ে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই স্পেন ছন্দে ফিরে আসে, স্বাভাবিকভাবে গোলের সুযোগও তৈরি হয় একাধিকবার।
কিন্তু প্রিদাগ রাজকোভিচ চীনা দেয়াল হয়ে ওঠেন; কখনো ইয়ামালের শট কখনো আবার অ্যালেক্স গ্রিমালদোর ফ্রি কিক ঠেকিয়ে দিয়ে জাল অক্ষত রাখেন তিনি। বলতে গেলে প্রায় একক নৈপুণ্যে সার্বিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ এক পয়েন্ট এনে দিয়েছেন এই তারকা। তাঁর দৃঢ়তার বিরুদ্ধে কোন জবাবই দিতে পারেনি লা ফুয়েন্তের শিষ্যরা।