শান্ত, আর কত?

ব্যাট হাতে সেই ভরসাটা রাখতে পারছেন সামান্যই। এবার নেপালের বিপক্ষেও দলকে বিপদে রেখে ফিরে গেছেন সাজঘরে। ইনিংসের মাত্র দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে গেছেন মাত্র চার রান করে। 

তাঁর ওপর বাংলাদেশের ভরসা যতটা, তার চেয়ে আশা অনেক বেশি। দেশের যে গুটিকয়েক ক্রিকেটারের ওপর সরাসরি কোনো নির্দিষ্ট ভূমিকার জন্য বিনিয়োগ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) তাঁদের মধ্যে সবার ওপরে আসবে নাজমুল হোসেন শান্তর নাম।

বয়স ভিত্তিক ক্রিকেটে অধিনায়ক না হওয়ার পরও শান্তকে তিল তিল করে গড়ে তুলেছে বিসিবি। বিসিবির কাঠামোতে নানা ভাবে অধিনায়ক হিসেবে পরখ করা হয়েছে শান্তকে। ‘এ’ দলের পর সহ-অধিনায়কত্ব, অনেক ঘাট ঘুরে তবেই জাতীয় দলের নেতা বনে গেছেন শান্ত।

যদিও ব্যাট হাতে সেই ভরসাটা রাখতে পারছেন সামান্যই। এবার নেপালের বিপক্ষেও দলকে বিপদে রেখে ফিরে গেছেন সাজঘরে। ইনিংসের মাত্র দ্বিতীয় ওভারেই আউট হয়ে গেছেন মাত্র চার রান করে।

কিংসটাউনের আর্নস ভ্যালে গ্রাউন্ডে যখন মাঠে নামেন তখন মাথায় আকাশ সমান চাপ। ইনিংসের প্রথম বলেই অবিবেচকের মত শট খেলতে গিয়ে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন তানজিদ হাসান তামিম। দ্বিতীয় ওভারে সেই একই পথেই হাঁটলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।

বিশ্বকাপের আগে থেকেই শান্তর ফর্ম নিয়ে সংশয়বাদীদের অভাব ছিল না। বিশ্বকাপের প্রথম তিন ম্যাচ কোনোটাতেই হাসেনি তাঁর ব্যাট। জরুরী সময়ে আউট হয়েছেন বাজে ভাবে। দলকে দিতে হয়েছে তাঁর খেসারত।

নেপালের বিপক্ষে ম্যাচের আগে সর্বশেষ ২০ ম্যাচে রান মাত্র ২৯০। গড় মাত্র ১৬.১১। স্ট্রাইক রেট মাত্র ৯৭। ৩৮ বলে ৫৩ রানের অপরাজিত এক ইনিংস এর মধ্যে থাকার পরও পরিসংখ্যানটা খুব একটা ভদ্রস্ত হতে পারেনি। সুপার এইট নিশ্চিত করার ম্যাচেও সেই সুযোগ হাতছাড়াই হল শান্তর।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...