যেভাবে সফল মিরাজ

অনেক সম্ভবনা নিয়ে ২০১৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় মেহেদী হাসান মিরাজের। এর পরের বছরই শ্রীলঙ্কার সাথে ওয়ানডে অভিষেকও হয়ে যায় তাঁর। টেস্টে নিজেকে প্রমাণ করে দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ বানালেও ওয়ানডেতে এখনো নিজকে থিতু করতে পারেননি মিরাজ। এরই মধ্যে ওয়ানডেতে উত্থান পতন দুইই দেখা হয়ে গেছে এই অলরাউন্ডারের ক্যারিয়ারে।

মিরাজের অভিষেকের পর ৫৭ টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশশ। ৫৭ ওয়ানডের ভিতর ৪৩ টি ম্যাচের একাদশেই ছিলেন মিরাজ। এই ৪৩ ম্যাচে ৩৭.৩১ গড়ে মিরাজ নিয়েছেন ৪৫ উইকেট। গতকালের আগে ওয়ানডে ৪ উইকেট পেয়েছিলেন একবার এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষেই। আর গতকাল ২৫ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করেছেন ক্যারিবিয়ানদের সাথেই।

পারফর্ম করলেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটের মিরাজের শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মেহেদী হাসান। টেস্টে নিয়মিত পারফর্ম করলেও তাকে চ্যালেঞ্জ জানাচ্ছেন আরেক অফ স্পিনার নাইম হাসান। এতো চ্যালেঞ্জের মাঝে দলে জায়গা ধরে রাখতে পারফরম্যান্সের গুরুত্ব তাই ভালো করেই অনুধাবন করেন মিরাজ।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো না করে দলে টিকে থাকার কোন সুযোগ দেখেন না এই অলরাউন্ডার। পারফরম্যান্স দিয়ে দলের চাহিদা পূরণ করতে না পারলে অন্য কারও জন্য জায়গা ছেড়ে দিতে হবে এই বাস্তবতাও জানা আছে মিরাজের।

তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো পারফর্ম করেই খেলতে হবে। আমি যদি দিন শেষে ভালো না করি, তাহলে আমাকে জায়গা ছেড়ে দিতে হবে, আরেকজন খেলোয়াড়কে আমার জায়গায় সুযোগ দিতে হবে। প্রতিযোগিতা অনেক বেশি, প্রত্যেক খেলোয়াড়কে প্রতিযোগিতা করে খেলতে হচ্ছে।’

তবে মিরাজ এটাও জানিয়েছেন তার প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য কেউ নয়। মিরাজ প্রতিযোগিতা করেন নিজের সাথেই। নিজকেই নিজে চ্যালেঞ্জ দেন প্রতিনিয়ত। নিজের সাথে নিজে জিতে গেলে খুশিও হন অনেক।

মিরাজ বলেন, ‘দিনশেষে আমার নিজের সাথে নিজের প্রতিযোগিতাই বেশি। কে বসে আছে বা কে খেলছে না সেটা আমি চিন্তা করি না। তবে আমি সবসময়ই চেষ্টা করি নিজের সাথে নিজের প্রতিযোগিতা করার জন্য। যদি নিজের সাথে নিজে জিতে যাই তাহলে অনেক ভালো লাগে, খুশি থাকি।’

নিজের সাথে প্রতিযোগিতায় মিরাজকে সব সময় সহযোগিতা করেন সাকিব আল হাসান। যখনই প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেন না, তখনই সাকিবের দ্বারস্থ হন মিরাজ। মিরাজ জানিয়েছেন জুনিয়র হিসাবে অনেক কিছু শেখেন সাকিবের কাছে থেকে।

এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘বিশেষ করে সাকিব ভাই। সাকিব ভাইয়ের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তো আমরা সবাই জানি। সবসময় ভালো বোলিং করেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী বল করেন। জুনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে অনেক কিছু শিখি সাকিব ভাইয়ের কাছে থেকে। তিনি বিভিন্ন পরামর্শ দেন, পরিস্থিতি অনুযায়ী বিভিন্ন কথা বলেন।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link