বাবর আজমকে ধরা হয় এই প্রজন্মের অন্যতম সেরা প্রতিভাবান ব্যাটার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে করেছেন তের হাজারের বেশি রান, সাথে ৩১ টি সেঞ্চুরি। একজন দারুণ ব্যাটার হিসেবে তাঁকে বিবেচনা করতে কোনো বাধা নেই নিঃসন্দেহে। তবে তিনি কি দারুণ একজন ব্যাটার হওয়ার পাশাপাশি একই সাথে একজন দারুণ অধিনায়কও? সেই প্রশ্নে মিলবে মিশ্র উত্তর ।
২০১৯ সালটা পাকিস্তানের জন্য খুব একটা ভালো কাটেনি। তখন পাকিস্তান পরিবর্তন আনতে চাচ্ছিল অনেক কিছুতেই, খুঁজছিল একজন যোগ্য নেতা। ততদিনে বাবর আজম ক্রিকেট বিশ্বে বেশ জনপ্রিয় এক নাম। তাঁর অভিজ্ঞতা, দক্ষতা আর নেতৃত্বগূণকে উপযুক্ত মনে করায় তাই তাকেই অধিনায়কত্ব দেওয়া হয় ২০২০ সালে।
টেস্ট ক্রিকেটে তেমন একটা ভালো রেকর্ড না থাকলেও ওয়ানডে আর টি টোয়েন্টিতে বাবরের রয়েছে বেশ ভালো একটা রেকর্ড। অধিনায়ক হিসেবে ওয়ানডেতে জয়ের অনুপাত ২.৩৩। টি টোয়েন্টিতে জিতেছেন ১৬ ম্যাচের মধ্যে ১০ টি।
ভালো রেকর্ড থাকা সত্ত্বেও বাবর সমালোচিত হয়েছেন তাঁর কৌশলগত চিন্তাভাবনার কারণে। খেলোয়াড়দের কাছ থেকে সেরাটা বের করতে পারেন না এমন একটা কথা প্রচলিত আছে তাঁকে নিয়ে।
তবে তাঁর এই দুর্বলতার বিপক্ষে যুক্তি দিচ্ছে ভালো রেকর্ড। চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও তিনি জয় এনে দিতে পারেন অপেক্ষাকৃত বেশি ম্যাচে। তরুণ খেলোয়াড়রাও তাঁর অধীনে ভালো খেলেছে।
সব কিছু মিলিয়ে বাবর আজম একজন প্রতিভাবান ব্যাটার, এবং একই সাথে সফল অধিনায়ক। সমালোচনা সত্ত্বেও দলকে জয় এনে দিয়েছেন। শেখার আর উন্নতি করার একটা মনোভাব দেখিয়েছেন। তাঁর মধ্যে অন্যতম সেরা অধিনায়ক হওয়ার সব গুণই আছে, এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা নিন্দুকদের ভুল প্রমাণ করার।