একটা ট্রফির জন্য কত হাহাকার, নিজের শতভাগ কিংবা তারও বেশি উজাড় করে দেয়া সত্ত্বেও আরাধ্য শিরোপা মঞ্চে উঠতে পারেননি হ্যারি কেন। পরিচয় বদলেছেন, চিরচেনা প্রিমিয়ার লিগ ছেড়ে বুন্দেসলিগায় পাড়ি জমিয়েছেন। তবু চ্যাম্পিয়ন হতে পারলেন না এখনো, তবে তাঁর প্রচেষ্টা কিন্তু থেমে নেই। এখনো ছুটছেন আলোর গতিতে, যদি একটু শিরোপা ছোঁয়া যায়।
সবশেষ খেলেছেন ভিএফবি স্টুটগার্টের বিপক্ষে, সে ম্যাচেও বিধ্বংসী রূপে হাজির হয়েছেন এই স্ট্রাইকার। তেইশ মিনিটের ব্যবধানে করেছেন হ্যাটট্রিক, তাঁর তাণ্ডবে ৪-০ গোলের বড় জয় পেয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ।
প্রথমার্ধ অবশ্য নির্বিষ কেটেছিল এই ইংলিশ ম্যানের; তবে দ্বিতীয়ার্ধে চিত্র পাল্টে যায়। ৫৭ মিনিটের সময় আসে প্রথম গোল, পঁচিশ গজ দূর থেকে মাটি কামড়ানো শট! ঠেকানোর উপায় আসলে ছিল না অ্যালেক্সান্ডার নুবেলের কাছে। দুই মিনিট পরেই ক্লোজ রেঞ্জ থেকে দুই বারের চেষ্টায় আবারও গোল করেন তিনি।
কেনের পারফরম্যান্স পূর্ণতা পায় আশি মিনিটের মাথায়, অলফনসো ডেভিসের পাস দুই ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে চলে আসে তাঁর পায়ে। ঠান্ডা মাথায় একেবারে কাছ থেকে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি; সবমিলিয়ে এর আগের চার ম্যাচ গোল শূন্য থাকতে হয়েছে তাঁকে, সেই ক্ষোভটাই বোধহয় বেচারা স্টুটগার্টের উপর দিয়ে গিয়েছে।
চলতি বুন্দেসলিগায় এই নিয়ে আট গোল করলেন ইংলিশ অধিনায়ক, সেই সাথে চারটা অ্যাসিস্টও রয়েছে তাঁর। দলকে লিগ টেবিলে সবার উপরে রাখার ক্ষেত্রে তিনি যে সর্বোচ্চ অবদান রেখেছেন সেটা তাই আর আলাদা করে বলার প্রয়োজন নেই।
আগের মৌসুমে বায়ার লেভারকুসেনের অতিমানবীয় ফর্মের সুবাদে লিগ শিরোপা হাতছাড়া হয়েছিল এই তারকার। অথচ ৩৬ গোল একাই করেছিলেন তিনি, সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা লুইস ওপেন্দার চেয়ে বারো গোল বেশি। এবার বোধহয় এমনটার পুনরাবৃত্তি ঘটতে দিতে চাইবেন না তিনি; সেজন্য যদি চল্লিশ গোলও করতে হয় তাঁকে, সেটাই করবেন নিশ্চয়ই।