দলে জায়গা পেতে বাবরকে চাপ দিয়েছেন মালিক?

পাকিস্তান ক্রিকেটে একটা গুঞ্জন খুব প্রচলিত, বাবর আজমের সঙ্গে শোয়েব মালিকের সম্পর্কটা বোধহয় ভাল নয়। কিন্তু সম্প্রতি সেই গুঞ্জন অস্বীকার করেছেন স্বয়ং শোয়েব মালিক। তাঁর দাবি, দলে নিতে কখনোই বাবরকে চাপ প্রয়োগ করেননি তিনি।

বয়স চল্লিশ পেরিয়েছে বছর খানেক আগেই। একচল্লিশ ছুঁয়েছে এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে। তারপরও বাইশ গজের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে থামার যেন কোনো ভ্রুক্ষেপই নেই শোয়েব মালিকের। বরং পাকিস্তান ক্রিকেটের এ চিরসবুজের নতুন লক্ষ্য এখন টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ১৫০০০ রানের মাইলফলক স্পর্শ করার দিকে।

শোয়েবের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দরজা বন্ধ হয়ে গিয়েছে সেই ২০২১ সালে নভেম্বরের পরই। ঘরোয়া ক্রিকেটে এর পর থেকে ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করেছেন। কিন্তু তারপরও তাতে নির্বাচকদের মন গলেনি। জাতীয় দলের দরজার বদ্ধ শিকল তাই আর ভাঙতে পারেননি পাকিস্তানি এ ক্রিকেটার। অথচ যে সময়ে শোয়েব মালিককে দলে ফেরানোর জন্য পুরো পাকিস্তান আন্দোলিত, তখন পাকিস্তানের মিডল অর্ডারে কেউ ভরসার পাত্রই হয়ে উঠতে পারছিলেন না।

টিম ম্যানেজমেন্টের এমন কাণ্ডে তখন গুঞ্জন ওঠে, পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজমের সঙ্গে শোয়েব মালিকের সম্পর্কটা বোধহয় ভাল নয়। তাই গত বছরের সেপ্টেম্বরে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলেও ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জায়গা পাননি এই অলরাউন্ডার।

তবে বাবরের সাথে এমন তিক্ত সম্পর্কের গুঞ্জন নিজেই উড়িয়ে দিয়েছেন শোয়েব মালিক। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ৪১ বছর বয়সী এ পাকিস্তানি অলরাউন্ডার জানান, ‘পাকিস্তান ক্রিকেট নিয়ে ঐ সময়ে আমার সাথে বাবরের কোনো কথাই হয়নি। এমনকি আমাকে দলে নেওয়ার ব্যাপারে ওর সাথে সামান্যতম কথাও হয়নি। তবে দলে থাকাকালীন, সে যখন ক্রিকেট নিয়ে কথা বলতো, তখন আমরা বেশ কথা বলেছি।’

শোয়েব মালিক আরো যুক্ত করে বলেন, ‘বাবর আমার কাছে ছোট ভাইয়ের মত। তাঁর সাথে আমার কোনো তিক্ততা নেই। আমি কখনোই আমার কারণে ওকে অস্বস্তিতে পড়তে দিতে চাই না। ২০২২ এশিয়া কাপের সময়ে ওর সাথে আমার কথা হয়েছিল। ও তখন বলেছিল, এই একই স্কোয়াড নিয়েই পাকিস্তান টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলতে চায়। পরবর্তীতে প্রায় সেটিই হয়েছে।’

তবে বাবর আজমের সাথে সম্পর্কের তিক্ততার কথা শোয়েব মালিক অস্বীকার করলেও অতীত বলছে ভিন্ন কথা। গতবারের এশিয়া কাপ ফাইনালে শ্রীলঙ্কার কাছে পাকিস্তানের হারের পর বাবরসহ পাকিস্তান টিম ম্যানেজমেন্ট স্বজনপ্রীতি দোষে দুষ্ট দাবি করে টুইট করেছিলেন শোয়েব মালিক। এ ছাড়া, ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই বাবর আজম নাকি তাঁকে অবসরের বিষয়ে প্রশ্ন করেছিলেন।

শোয়েব মালিকের ভাষ্যমতে, নিজের ফিটনেসের প্রতি আত্মবিশ্বাস থেকে খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন তিনি। বাবরও মালিককে কথা দিয়েছিলেন। কিন্তু ২০২১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের পরই বাবর আর সেই কথা রাখেননি। এর পরই জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ে যান শোয়েব মালিক।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...