সাকিব আল হাসানের মত একই ভুল করে বসলেন শ্রীলঙ্কার তরুণ স্পিনার প্রবীণ জয়াবিক্রমা; ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পেয়েও ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) অ্যান্টি করাপশন অ্যান্ড সিকিউরিটি ইউনিটকে (আকসু) বলেননি তিনি। সেজন্য তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ধারায় ইতোমধ্যে তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে, শীঘ্রই তাঁর বিরুদ্ধে যথাযোগ্য শাস্তির ব্যবস্থাও করা হবে।
২০২১ সালের লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে ফিক্সাররা প্রথমবার যোগাযোগ করেছিল এই স্পিনারের সঙ্গে, তাঁর মাধ্যমে আরেকজন ক্রিকেটারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চেয়েছিল তাঁরা। কিন্তু সেই তথ্যের ব্যাপারে তিনি ক্রিকেট বোর্ড বা আইসিসিকে অবগত করেননি। এছাড়া আন্তর্জাতিক ম্যাচে স্পট ফিক্সিং করার প্রস্তাবও দেয়া হয়েছিল তাঁকে।
তাই তো ২.৪.৪ ধারা অনুযায়ী আকসুকে ফিক্সিং করার প্রস্তাবের ব্যাপারে না জানানোর অপরাধে অভিযুক্ত হয়েছেন এই তরুণ; একই ধারায় জুয়াড়িদের মাধ্যম হিসেবে কাজ করার প্রস্তাব পেয়ে গোপন করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
এই লঙ্কান আরো একটি বড় ভুল করেছেন তদন্তে সহযোগিতা না করে; ফিক্সারদের সঙ্গে যেসব মেসেজ আদান-প্রদান করেছেন, সেটি তিনি মুছেে ফেলেন। ফলে ২.৪.৭ ধারা অনুযায়ী ‘তদন্তে বাঁধা প্রদান’ এর অভিযোগও নতুন করে যোগ হয়। এর ফলে তাঁকে যে বড়সড় শাস্তির মুখে পড়তে হবে সেটা নিশ্চিত।
ইতোমধ্যে আইসিসির পক্ষ থেকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে এই বাঁ-হাতিকে; আগামী ২০ আগস্টের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্য শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট আইসিসিকে সুষ্ঠু তদন্ত শেষ করার লক্ষ্যে পূর্ণ সহায়তা করবে৷ এরপরই মূলত জানা যাবে কি শাস্তি পেতে যাচ্ছেন তিনি।
২০২১ সালেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল জয়াবিক্রমার; অভিষেক ম্যাচে ১১ উইকেট তুলে একাই বাংলাদেশকে হারিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে ২৫ উইকেট আছে তাঁর ঝুলিতে। এমন উড়ন্ত শুরুর পরও মুখ থুবড়ে পড়লো ক্যারিয়ার, আপাতত ভাগ্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে তাঁকে।