বছরের শেষভাগে বাংলাদেশে বসতে চলেছে ক্রিকেটের বৈশ্বিক আসর। নারীদের বিশ্বকাপ আয়োজনের প্রস্তুতি ইতোমধ্যেই নিতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। কিন্তু এরই মধ্যে জেগেছে শঙ্কা। বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ বাংলাদেশের কাছ থেকে হয়ে যেতে পারে হাতছাড়া।
বিশ্বকাপ মানেই এক বিশাল যজ্ঞ। বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে খেলোয়াড়রা জড়ো হবেন বাংলাদেশের মাটিতে। তাদেরকে দিতে হবে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। যদিও সেদিক থেকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড কখনোই ব্যর্থতার পরিচয় দেয়নি। নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে বহুদল দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে অস্বীকৃতি জানালেও পরবর্তীতে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে, নানা ঘটনা প্রবাহে দেশের পরিস্থিতি স্থিতিশীল পর্যায়ে নেই। সেই কারণেই জন্ম নিয়েছে উদ্বেগ। আইসিসির বার্ষিক সভাতে বাংলাদেশে নারীদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন নিয়েও হয়েছে আলোচনা। নিবিড়ভাবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে আইসিসি।
ক্রিকেটভিত্তিক গণমাধ্যমে আইসিসির এক সূত্র বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি খুব নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি, টুর্নামেন্টটা বেশ দূরেই আছে অবশ্য। পরিস্থিতির উন্নতিও ঘটছে।‘ অক্টোবরে মাঠে গড়াবে মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসর। হাতে এখনও প্রায় মাস দুয়েক সময় আছে।
এবারের আসরে ১০ দল অংশ নিতে চলেছে। ১৮ দিনের ক্রিকেটীয় লড়াই হবে ঢাকা ও সিলেটে। ৩ থেকে ২০ অক্টোবরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে ২৩টি ম্যাচ। আইসিসির একটি বৈশ্বিক আসর আয়োজনের সুযোগ হাতছাড়া নিশ্চয়ই করতে চাইবে না বিসিবি।
২০১৪ সালের পর আবার একটি বিশ্বকাপ আয়োজনের ঠিক দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে বিসিবি। তাইতো তারাও বেশ উদ্বিগ্ন দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে। যদিও আইসিসি কিংবা বিসিবি প্রত্যেকেই বেশ আশাবাদী পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার ক্ষেত্রে।
তেমনটি হলে ১০ দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে লড়বে রুপালি সেই ট্রফি জয়ের জন্যে। উদ্বোধনী দিনে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল। তবে উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ক্রিকেট দল।