প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে নেমেছিলেন রিশাদ হোসেন। প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের মঞ্চে বাংলাদেশের একজন লেগস্পিনার। তাঁর কাছ থেকে প্রত্যাশা তাই ছিল সামান্যই।
কিন্তু, সেই সামান্য প্রত্যাশার প্রতিদানই দুই হাত ভরে দিয়েছেন রিশাদ হোসেন। আইসিসির ফ্যান্টাসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন এই তরুণ বাংলাদেশি। স্বভাবতই, এই একাদশে তিনি একমাত্র বাংলাদেশি।
এই অর্জনের গুরুত্ব কতটুকু সেটা বোঝাতে একটা তথ্যই যথেষ্ট। দলে জায়গা হয়নি ভারতকে ১৩ বছর পর বিশ্বকাপের শিরোপা এনে দেওয়া রোহিত শর্মার। তবে, রোহিতের না থাকা নিয়ে আইসিসিকে সমালোচনার মুখেও পড়তে হচ্ছে বেশ।
যদিও, একাদশ নির্বাচিত হয়েছে পয়েন্টের ভিত্তিতে। আইসিসির সরাসরি এখানে কোনো হস্তক্ষেপ নেই। অধিনায়ক হিসেবে আছেন আফগান গ্রেট রশিদ খান। তিনি প্রথমবারের মত আফগানিস্তানকে নিয়ে গেছেন সেমিফাইনালের মঞ্চে।
রশিদ-সহ মোট তিনজন আফগান আছেন এই একাদশে। ভারত থেকে আছেন তিনজন – জাসপ্রিত বুমরাহ, আর্শদীপ সিং ও হার্দিক পান্ডিয়া। তবে, সেমিফাইনালের টিকেটও না পাওয়া অস্ট্রেলিয়া দল থেকে বিস্ময়কর ভাবে তিনজন জায়গা পেয়েছেন – ট্রাভিস হেড, ডেভিড ওয়ার্নার ও মার্কাস স্টোয়িনিস। আবার রানার আপ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কেবল ট্রিস্টান স্টাবস আছেন।
ক্যারিয়ারের প্রথম বিশ্বকাপেই রিশাদ হোসেন শিকার করেছেন ১৪ উইকেট। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই তিনি হন ম্যাচ সেরা। পুরো আসরজুড়ে তিনি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট নিয়েছেন। তাঁর থাকাটা বাংলাদেশের জন্য সম্মানজনক। তবে, অনেক যোগ্য লোকের বাদ পড়াটাও দৃষ্টিকটু।
- টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেরা একাদশ: রহমতউল্লাহ গুরবাজ (উইকেটরক্ষক), ট্রাভিস হেড, ডেভিড ওয়ার্নার, ট্রিস্টান স্টাবস, হার্দিক পান্ডিয়া, মার্কাস স্টোয়িনিস, রশিদ খান (অধিনায়ক), ফজল হক ফারুকি, জাসপ্রিত বুমরাহ, আর্শদীপ সিং ও রিশাদ হোসেন।