বয়স ৪১ পেরিয়ে ৪২ বছর ছুঁইছুঁই। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে রয়েছেন তা প্রায় দুই বছর হতে চললো। সেই শোয়েব মালিকই কিনা সাম্প্রকি সময়ে পাকিস্তানের হয়ে আগামী বছর অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শুধু তাই নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে হওয়া সেই বিশ্বকাপ শিরোপাটা উঁচিয়ে ধরার লক্ষ্যের কথাও জানান তিনি।
যদিও চলতি বছরে লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ (এলপিএল) খেলার পর আর মাঠের ক্রিকেটে দেখা যায়নি পাকিস্তানি এ অলরাউন্ডারকে। তবে তিনি যে খেলাটা এখনও উপভোগ করেন, সেটিই ডন-কে দেওয়া একান্ত এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন। এ সময়ে পাকিস্তান ফেরার ব্যাপারের নিজের একটি শর্তের কথা বলেছেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘আমি খেলাটা উপভোগ করি। তাই আমি পাকিস্তানের হয়ে খেলতে চাই। তবে যদি তাঁরা আমাকে দলে নেয়, সে ক্ষেত্রে দলে আমার রোল সম্পর্কে নিশ্চিত করতে হবে। তাঁরা আদৌ আমাকে নিয়ে কতদূর ভাবছে, সেটির ব্যাপারে নিশ্চিত হয়েই আমি খেলতে চাই।’
পাকিস্তানের হয়ে শেষবার মালিক খেলেছেন টি-টোয়েন্টি সংস্করণেই। ২০২১ সালে বাংলাদেশের বিপক্ষে তিন ম্যাচের সিরিজে। এরপর আর তাঁকে দেখা যায়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। তবে বয়স চল্লিশ পেরিয়ে গেলেও এখনও ফিটনেস ধরে রেখেছেন এ ক্রিকেটার।
এ নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার শারীরিক ফিটনেস নিয়ে কোনো সমস্যা নেই। আমি যখন খেলা শুরু করেছিলাম, তখন যেমন ফিটনেস ছিল, এখনও তাই আছে। পিসিবি যখনই আমার সঙ্গে যোগাযোগ করবে, আমি পাকিস্তানের হয়ে খেলার জন্য প্রস্তুত থাকব।’
সব ধরনের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট মিলিয়ে ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটার হচ্ছেন শোয়েব মালিক। তবে তাঁর সামনে হাতছানি রয়েছে শীর্ষে যাওয়ারও। আর ১৮৫৪ রান করলেই ক্রিস গেইলকে টপকে তিনি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ব্যাটার বনে যাবেন।
এখন পর্যন্ত ৫১৫ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ১২৬৮৮ রান করেছেন শোয়েব মালিক। আর ৪৬৩ ইনিংসে ১৪৫৬২ রান করে সবার উপরে রয়েছেন ক্রিস গেইল। ক্যারিয়ারের এই সময়ে এসে যে এমন একটা রেকর্ডের দিকে তাঁর চোখ রয়েছে, তা অস্বীকার করেননি শোয়েব মালিক।
তিনি বলেন, ‘এখন আমার লক্ষ্য হচ্ছে, ক্রিস গেইলকে টপকে যাওয়া। আর দুই হাজার রান করলেই সেই স্বপ্নটা সত্যি হবে। এখন পর্যন্ত যেমন বোধ করছি, ফিটনেস যেমন, তাতে সম্ভব বলেই মনে হচ্ছে।’ সেই ‘সম্ভব’ কাজটা কি করতে পারবেন শোয়েব মালিক?