একটা শিরোপা জয়ের মিশন। বহুকাল হতে চলল ঘরে আসেনি কোন ট্রফি। তাইতো জার্মানি যেন বদ্ধপরিকর। এদফা ঘরের মাঠে জিততেই হবে ইউরো চ্যাম্পিয়নশীপ। আর সেই ব্রতকে সত্য ধরে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন ইলকায় গুন্দোয়ান।
হাঙ্গেরির সাথে ম্যাচটি জিতলেই দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়ার রাস্তাটা হবে পরিষ্কার। প্রথম ম্যাচে স্কটল্যান্ডকে উড়িয়ে দেওয়া জার্মানরা হয়ত সহজ এক জয়ের প্রত্যাশাই করেছিল। কিন্তু জয়টা ততটাও সহজে এসে দেয়নি ধরা। কিন্তু গুন্দোয়ান যে নাছোড়বান্দা। তিনি জয় ব্যতীত মাঠ ছেড়ে উঠবেনই না।
তাইতো জার্মানির করা ২ গোলেই তিনি রাখলেন অবদান। প্রথমটা করালেন সময়ের অন্যতম তরুণ তারকা জামাল মুসিয়ালাকে দিয়ে। পরের গোলটা নিজ পায়েই জড়ালেন জালে। পূর্ণ তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ে হুলিয়ান নেগেলসম্যানের দল।
ম্যাচে অবশ্য দাপট দেখিয়েছে জার্মানি। হাঙ্গেরির রক্ষণ দূর্গে বারংবার আক্রমণ চালিয়েছে দলটি। ১৯ খানা শট চালিয়ে মোটে ২টি শট পেয়েছে জালের ঠিকানা। তাতেই অন্তত আন্দাজ করে নেওয়া যায়, বল পজিশনে পিছিয়ে থাকলেও হাঙ্গেরি লড়াই করতে দ্বিধা করেনি। জার্মান ট্যাঙ্ক রুখে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকুই করে গেছে শেষ অবধি।
তাদের সেই প্রতিরোধ প্রথমে ভাঙে ম্যাচের ২২ মিনিটে। হাঙ্গেরিয়ান ডি-বক্সে সৃষ্টি হয় জটলা। সেই জটলার মধ্য থেকে পেনাল্টি স্পটের সামনের দিকে মুসিয়ালাকে বল বাড়িয়ে দেন গুন্দোয়ান। সেখান থেকে কোনরকম ভুল করেননি তরুণ এই সেনসেশন।
তবে এর ঠিক ১১ মিনিট আগে দারুণ এক সেভ দিয়ে জার্মানির মোমেন্টামকে নষ্ট হতে দেননি ম্যানুয়েল নয়্যার। ডি-বক্সের বাইরের ফ্রি-কিক থেকে গোল প্রায় পেয়েই গিয়েছিল হাঙ্গেরি। গোল পাওয়ার দ্বারপ্রান্তে প্রথমার্ধের একেবারে শেষের দিকেও পৌঁছেছিল ডমিনিক সবোসলাইয়ের দল। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত গোল আর পাওয়া হয়ে ওঠেনি।
বিরতির পর ব্যবধান বাড়াতে মড়িয়া হয়ে ওঠে জার্মান শিবির। অন্যদিকে একটা গোলের সন্ধান করে গেছে হাঙ্গেরি। বহু কষ্টে পাওয়া সুযোগগুলো তারা কাজে লাগাতে পারেনি। কিন্তু গুন্দোয়ান সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পটু। ৬৩ মিনিটের মাথায় ম্যাক্সিমিলিয়ানের বাড়ানো বলকে তিনকাঠির ভেতরে রাখেন গুন্দোয়ান। তাতে করেই নিশ্চিত হয় জার্মানির তিন পয়েন্ট।
দুই ম্যাচের দুইটিতে জিতে দ্বিতীয় রাউন্ডে এক পা দিয়ে রেখেছে জার্মানরা। আর এই দূর্বার গতিতে ছুটতে থাকা দলের ভারসাম্য বজায় রাখছেন গুন্দোয়ান। দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, নিজে পারফরম করছেন। যতটুকু সম্ভব অবদান রাখবার সর্বোচ্চ চেষ্টাই করছেন। শিরোপা খরা যে কাটাতেই হবে এবার।