আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন খানিকটা অভিমান করেই; পাকিস্তানের জার্সি তুলে রেখেছিলেন, ব্যস্ত ছিলেন বিভিন্ন লিগে। তবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ইমাদ ওয়াসিমকে দলে ফেরাতে উদযোগী হয়েছিল টিম ম্যানেজম্যান্ট, সেটিরই ধারাবাহিকতায় নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে জাতীয় দলে ফেরেন তিনি।
কিন্তু প্রত্যাবর্তন স্মরণীয় করে রাখা হয়নি তাঁর, চার ওভার বল করে ৩২ রান খরচ করলেও কোন উইকেট ঝুলিতে পুরতে পারেননি এই অলরাউন্ডার। অন্যদিকে ব্যাট হাতে প্রশংসনীয় ক্যামিও খেলেছেন ঠিকই, কিন্তু দলকে জেতাতে পারেননি অল্পের জন্য; ফলে তীব্র আক্ষেপ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে তাঁকে।
এদিন সাত নম্বরে নেমেছিলেন এই বাঁ-হাতি, জয়ের জন্য তখনো পাকিস্তানের ২১ বলে ৪১ রান প্রয়োজন ছিল। মাঝারি মানের সমীকরণ কঠিন হয়ে যায় সেট ব্যাটার ফখর জামান ফিরে গেলে, কিন্তু পিছু হটেননি তিনি। লোয়ার অর্ডারকে সঙ্গে নিয়েই অসম্ভব এক জয়ের পিছনে ছুটে ছিলেন – শেষপর্যন্ত ১১ বলে ২২ রান নিয়ে থামতে হয় তাঁকে, দল হেরে যায় চার রানে।
ওয়ানডে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার জের ধরে বাবর আজমকে অধিনায়কত্বের আসন থেকে সরিয়ে দিয়েছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। পরবর্তীতে শাহীন শাহ আফ্রিদিকে দায়িত্ব দেয়া হয় রঙিন পোশাকে অধিনায়ক হিসেবে। তিনিই মূলত আগ্রহী ছিলেন ইমাদ ও মোহাম্মদ আমিরের প্রত্যাবর্তনের ব্যাপারে।
তাঁর আগ্রহের ফলস্বরূপ, এখন দু’জনে আছেন স্কোয়াডে। তবে পাকিস্তান সুপার লিগে (পিএসএল) তাঁদের পারফরম্যান্স এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। বিশেষ করে ইমাদ ওয়াসিম ছিলেন ধারাবাহিক আর কার্যকরী।
গত ওয়ানডে বিশ্বকাপ আর এশিয়া কাপে স্পিন আক্রমণের দিক দিয়ে ভুগেছিল পাকিস্তান। শাদাব খানের অফ ফর্ম আর ব্যাকআপ স্পিনার না থাকায় বড় দুইটি টুর্নামেন্টে শোচনীয়ভাবে ব্যর্থ হয়েছিল। সেজন্যই তাঁকে ঘিরে নতুন করে পরিকল্পনা করছে পাক ম্যানেজম্যান্ট। প্রত্যাবর্তনের দিন ট্রাজিক হিরো হলেও বিশ্ব মঞ্চে তাই জয়ের নায়ক হতে চাইবেন তিনি।