এশিয়া কাপ কোথায় হবে তা নিয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। তবে শেষ খবর বলছে, আয়োজকস্বত্ত্ব হারাতে পারে পাকিস্তান। পাকিস্তান থেকে সরিয়ে শ্রীলঙ্কায় নেওয়া হতে পারে আসন্ন এশিয়া কাপের আয়োজন। আর তাতেই ক্ষুব্ধ হয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এক প্রকার হুমকি দিয়েই জানিয়েছে, এমন কিছু হলে তাঁরা এশিয়া কাপ বয়কট করবে।
অবশ্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তার সূত্রে জানা গিয়েছে, হুমকি দিলেও পাকিস্তান আদৌতে এশিয়া কাপ বয়কট করতে পারবে না। তাঁর মতে, ‘এটা তাদের সাময়িক প্রতিক্রিয়া। আমার মনে হয় না, তাঁরা বয়কট করতে পারবে। তাঁরা তাদের অবস্থা সম্পর্কে জানে। যতোই হুমকি দিক, এটা পিসিবি করতে পারবে না বলেই মনে হয়।’
পিসিবি প্রধান নাজাম শেঠি শুধু এশিয়া কাপ নয়, ভারতের মাটিতে আসন্ন বিশ্বকাপও বয়কট করার কথা বলে এসেছেন। তবে বাস্তবতা বলছে, সেটি আদৌতে সম্ভব নয়। কারণ পিসিবির এমন একরোখা আচরণে পরবর্তীতে ক্ষতিটা হবে তাদেরই।
আগামী ২০২৫ সালে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি হওয়ার কথা পাকিস্তানের মাটিতে। এমতাবস্থায়, পাকিস্তান বিশ্বকাপ বয়কট করলে পরবর্তীতে নিজেদের মাটিতে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আয়োজনের উপরে প্রভাব পড়বে নিশ্চিতভাবেই। আর এ কারণেও ভবিষ্যতের কথা ভেবে বয়কটের ডাক থেকে পাকিস্তান পিছু হাটবে বলেই ধরে নেওয়া হচ্ছে।
সাম্প্রতিককালে, পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল আইসিসির দুই শীর্ষ কর্মকর্তা গ্রেগ বার্কলে আর জিওফ অ্যালারডাইস। ২ দিনের সে সফরে মূলত বিশ্বকাপে যাওয়া, না যাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়। কিন্তু পিসিবি প্রধান নাজাম শেঠি স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, পাকিস্তান সরকার অনুমতি না দিলে তাঁরা ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে যাবে না।
এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ, এ দুই টুর্নামেন্টেই পাকিস্তানের বয়কট সিদ্ধান্তের সূত্রপাত অবশ্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডেরই একরোখা আচরণে। এবারের এশিয়া কাপের আয়োজক হিসেবে পাকিস্তানের নাম আগেই ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বেঁকে বসে বিসিসিআই।
পাকিস্তান অবশ্য ভারতকে হাইব্রিড মডেলের প্রস্তাব দিয়েছিল। কিন্তু তাতেও ভারতের ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআইয়ের মন গলাতে পারেনি পিসিবি। উল্টো ভারতের ইন্ধনেই পাকিস্তান থেকে এখন শ্রীলঙ্কায় এশিয়া কাপ হওয়ার কথা প্রায় চূড়ান্ত।
আর এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে পিসিবি পাল্টা বয়কটের ঘোষণা দেয়। ভারত যেভাবে পাকিস্তানে আসতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল, ঠিক সেভাবেই ভারতে বিশ্বকাপ খেলতে আপত্তি জানায় পাকিস্তান। একই সাথে, এশিয়া কাপের আয়োজকস্বত্ত্ব কেঁড়ে নেওয়ার সম্ভাব্যতায় এশিয়া কাপও বয়কটের হুমকি দিয়ে রেখেছে পিসিবি।