নিজ কোম্পানির ব্যাটেই ভাগ্য বদল ইমরুল কায়েসের

আইসিসি স্বীকৃত দেশের একমাত্র ব্যাটিং প্রস্তুতকারক কোম্পানির স্বত্ত্বাধিকারী ইমরুল কায়েস। নিজ কোম্পানির ব্যাট নিয়েই রাঙাতে চেয়েছিলেন বিপিএলের এবারের আসর। হলোও তাই। দেশের একমাত্র ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগের দশম আসরের প্রথম হাফসেঞ্চুরিয়ান বনে গেলেন এ ওপেনার। উদ্বোধনী ম্যাচে দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে খেললেন ৬৬ রানের একটি ইনিংস।

সর্বশেষ আসরে ইমরুল কায়েস ছিলেন শিরোপাজয়ী দলের অধিনায়ক। তবে চ্যাম্পিয়ন কাপ্তান হলেও ব্যাট হাতে ছিলেন পুরোপুরি নিষ্প্রভ। ১৬.৭৬ গড়ে করেছিলেন মোটে ২১৮ রান। ১৪ ম্যাচের একটিতেও ছিল না পঞ্চাশোর্ধ্ব ইনিংস। ব্যর্থতার মোড়ানো সে আসরের পর এবার আর তাঁকে অধিনায়কত্বই দেয়নি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। শঙ্কা ও ইঙ্গিত দুটোই ছিল, তারকাখচিত কুমিল্লার একাদশ থেকে বুঝি বাদ পড়ে যেতে পারেন কায়েস।

তবে নিজ কোম্পানির ব্যাট দিয়েই যেন ভাগ্য বদল করলেন বিপিএল ইতিহাসের অন্যতম সফল এ অধিনায়ক। ৬৬ রানের ইনিংস খেলার পথে ভাগ্যের ছোঁয়া পেয়েছেন বটে। তবে কুমিল্লার রানের চাকাটা সচল রেখেছিলেন তিনিই। বিশেষত, দলীয় ২৩ রানেই লিটন দাস ফিরে গেলে তাঁর ব্যাটে ভর করেই এগিয়েছে কুমিল্লার ইনিংস। যদিও তিনে নামা তাওহীদ হৃদয়ের যোগ্য সঙ্গ পেয়েছিলেন। এ দুই ব্যাটারের ১০৭ রানের জুটিতেই লড়াই করার পুঁজি পেয়ে যায় কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স।

২০২২ বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৬২ বলে ৮১ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ইমরুল কায়েস। সেটিই ছিল এ ব্যাটারের সর্বশেষ ফিফটি। এরপর পেরিয়ে গেছে ১৯ ইনিংস। তবে একবারের জন্যও পঞ্চাশ টপকাতে পারেননি তিনি। ২০২৪ বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচেই সে দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটালেন ইমরুল কায়েস।

তবে শুধু পঞ্চাশ পেরিয়েই ক্ষান্ত থাকলেন না। ৬ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো ৬৬ রানের ইনিংসে স্পর্শ করলেন তামিমের একটি রেকর্ডেও। দেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে বিপিএলে এতদিন সর্বোচ্চ ৯৩ টি ছক্কার রেকর্ড ছিল তামিমের। দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ২ ছক্কায় সেই সংখ্যাটিকেই এবার ছুঁয়েছেন ইমরুল কায়েস। বিপিএলে বাংলাদেশি ক্রিকেটারদের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ড যুগ্মভাবে ইমরুল ও তামিমের।

 

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link