টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দূর্দান্ত ফর্মে আছেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। চলতি আসরে ২৮১ রান করে সর্বচ্চ রানের তালিকায় তিনি আছেন সবার উপরে। প্রায় প্রতি ম্যাচেই উদ্বোধনীতে নেমে রান করে যাচ্ছেন তিনি।
আফগানিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপে সব থেকে বড় ভরসার প্রতীক গুরবাজ। তবে উদ্বোধনী এই ব্যাটারের উপর অতি ভরসা সেমিফাইনালে কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে আফগানদের জন্য।
প্রথম ম্যাচেই ৭৬ রানের এক ঝলমলে ইনিংস দিয়ে নিজের বিশ্বকাপ মিশন শুরু করেন গুরবাজ। তাঁর ব্যাটিং দক্ষতায় উগান্ডাকে ১২৫ রানের বিশাল ব্যাবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করে আফগানিস্তান। তবে গুরবাজ সব থেকে বড় পরীক্ষাটি দেন পরের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
ট্রেন্ট বোল্ট-লকি ফার্গুসনের বিরুদ্ধেও দূর্দান্ত এক অর্ধশতক করেন তিনি। তাঁর ৮০ রানের ইনিংসের কল্যাণেই নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে প্রথম বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে আফগানরা।
সুপার এইটে সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে সব থেকে বড় বাধা অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় আফগানিস্তান। এদিনও দলের ত্রাতা হয়ে মাঠে নামেন গুরবাজ। আবারও দলের হয়ে অর্ধশতক হাকান তিনি।
তাঁর ব্যাটে ভর করেই অস্ট্রেলিয়া বধের ইতিহাস লেখেন আফগান ক্রিকেট দল। সুপার এইটের শেষ ম্যাচে বাংলাদেশকে ৮ রানে হারিয়ে দিয়ে সেমিফাইনালে পৌছায় আফগানিস্তান। এই ম্যাচেও ৪৩ রানের গুরুত্বপূর্ণ একটি ইনিংস খেলেন গুরবাজ।
তবে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শূন্য রানেই ফেরত যেতে হয় গুরবাজকে। ফলে ১০৪ রানের বিশাল ব্যাবধানে হারে আফগানিস্তান। সুপার এইটের প্রথম ম্যাচেও ভারতের বিপক্ষে বড় ইনিংস খেলতে ব্যার্থ হন গুরবাজ। মাত্র ১১ রানে সাজঘরে ফিরতে হয় তাঁকে। সেই ম্যাচটিও ৪৭ রানে হারে আফগানরা।
সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবে আফগান ক্রিকেট দল। সাত ম্যাচে সাত জয়ে সেমিফাইনালে পৌছেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। তাই ম্যাচটি যে তাঁদের জন্য কঠিন হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
তবে, আফগানিস্তানের জন্য সব থেকে বড় চিন্তার বিষয় হয়ে থাকবে গুরবাজের প্রতি অতি নির্ভরতা। শুরুতেই তাঁকে ফেরাতে পারলে ম্যাচ যে নিজেদের পক্ষে চলে আসবে তা হয়ত পরিকল্পনা করেই রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।