জোহানসবার্গের স্মৃতি ফিরবে বার্বাডোজে?

দুই দলের শেষ দেখার স্মৃতি অবশ্য মনে করতে চাইবে না এইডেন মার্করামের দল, কেননা সেদিন জোহানেসবার্গে যা হয়েছিল সেটা স্রেফ দুঃস্বপ্ন। 

দশ বছরের অপেক্ষা শেষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা পেলো ভারত। মাঝে দুইবার সেমিফাইনালেই থেমে যেতে হয়েছিল তাঁদের, কিন্তু এবার আর হয়নি তেমন কিছু। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে ইংল্যান্ডকে ৬৮ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে তাঁরা – এখন সব ভাবনা দক্ষিণ আফ্রিকাকে ঘিরে।

অবশ্য প্রোটিয়ারা ভারতের কাছে একটুও অপরিচিত প্রতিপক্ষ নয়। গত বছরের শেষদিকে সবশেষ মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল; যদিও সেই স্মৃতি মনে করতে চাইবে না এইডেন মার্করামের দল, কেননা সেদিন জোহানেসবার্গে যা হয়েছিল সেটা স্রেফ দু:স্বপ্ন।

রোহিত শর্মা ছিলেন না, ছিলেন না বিরাট কোহলি কিংবা জাসপ্রিত বুমরাহ, হার্দিক পান্ডিয়ার মত তারকা। তবু আগে ব্যাট করতে নামা ভারত শুরু থেকেই তাণ্ডব চালিয়েছিল স্বাগতিক বোলারদের ওপর। বিশেষ করে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সুরিয়াকুমার যাদব সেদিন প্রলয়ের নটরাজ হয়ে উঠেছিলেন, তাঁর ৫৬ বলে শতরানের ইনিংসে ভর করে শেষমেশ ২০১ রান করে টিম ইন্ডিয়া।

জবাবে লড়াই করা তো দূরে থাক, কুলদীপ যাদবের বল বুঝতেই পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। এই চায়নাম্যান একাই ধসিয়ে দিয়েছিলেন তাঁদের ব্যাটিং লাইনআপ; সতেরো রানের বিনিময়ে শিকার করেছিলেন পাঁচ উইকেট।

প্রোটিয়া বধের দুই নায়ক আছেন ফাইনালেও, সবচেয়ে ভয়ের কথা চলতি বিশ্বকাপে তাঁরা দু’জনে আছেন দারুণ ছন্দে। সুরিয়া তো প্রতি ম্যাচেই ‘ইম্প্যাক্টফুল’ ইনিংসের দেখা পাচ্ছেন, অন্যদিকে সুপার এইট থেকে একাদশে সুযোগ পাওয়া কুলদীপ বনে গিয়েছেন ধারাবাহিক ম্যাচ উইনার।

শিরোপার অন্তিম লড়াইয়েও তাই বাড়তি নজর থাকবে তাঁদের ওপর। স্ব স্ব বিভাগের হয়ে তাঁরা জ্বলে উঠতে পারলেই বার্বাডোজে ফিরে আসবে জোহানসবার্গের স্মৃতি। তবে কাজটা মোটেই সহজ হবে না, প্রথমবারের মত বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলা দক্ষিণ আফ্রিকা এবার ছেড়ে কথা বলবে না নিশ্চয়ই।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...