বিরতি, তোমায় স্বাগতম

ভারতীয় ক্রিকেটারের জন্য ‘অবসর’ ব্যাপারটা যেন বিলাসিতা। সারা বছর একের পর এক সিরিজে ব্যস্ত থাকে দলটি। বলতে গেলে তাদের সময়টা ক্যালেন্ডারের চেয়েও যেনো এগিয়ে! অবসর সময় আর মরুভূমির মাঝে পানি খোঁজা দুটোই যেন তাদের জন্য একই।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে বর্তমানে আরব আমিরাতে ভারত দল। নিজেদের প্রথম ম্যাচেই চির প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের কাছে ১০ উইকেটে পরাজিত হওয়ার পর সবদিক থেকেই কিছুটা পিছিয়ে আছে টুর্নামেন্টের ফেবারিট এই দলটি। অথচ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) কারণে আরব আমিরাতে প্রায় লম্বা সময় ধরেই আছে ভারতের খেলোয়াড়েরা। কন্ডিশনের সাথে মানিয়েও নিয়েছেন সহজেই। তবে দীর্ঘসময় বিরতিহীন খেলার মধ্যে থাকায় ক্রিকেটারদের শারীরিক ভাষায় ক্লান্তির ছাপটা যে স্পষ্ট।

সেটি অবশ্য ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির কথায়ও স্পষ্ট। প্রথম ম্যাচের পর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচের আগে সাত দিনের বিরতি ভারতের! আর এই বিরতিতে নিজেদের ফিটনেস এবং শারীরিক ভাবে সেরা অবস্থানে যাওয়া সম্ভব বলে মনে করেন বিরাট। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ শেষে বিরাট বলেছিলেন, ‘আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর মতো যথেষ্ট সময় আছে।’ একই সাথে লম্বা সময় ধরে টানা খেলার পর এই বিরতিটা দলের সবার জন্য বেশ কাজে দিবে বলেও মনে করেন ভারতীয় অধিনায়ক।

আগামী রবিবার (৩১ অক্টোবর) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেমির দৌড়ে টিকে থাকার লড়াইয়ে মাঠে নামবে ভারত। এই লম্বা বিরতিকে সুযোগ মানছেন কোহলি, ‘লম্বা সময় ধরে টানা খেলার পর এই বিরতি অবশ্যই সবদিক থেকেই আমাদের জন্য কাজে দিবে। এই আরব আমিরাতেই আমরা আইপিএল খেলেছি, যেখানে কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেওয়ার একটা বড় সুযোগ পেয়েছি। তবে এই লম্বা বিরতিটা আমাদের প্রত্যেকের শারীরিক কন্ডিশন বা ফিটনেসের দিক থেকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে নেওয়া সম্ভব; যা এই টুর্নামেন্টে খেলার জন্য আমাদের খুব প্রয়োজন।’

প্রায় ১৫ মাস ধরে বায়ো বাবলে ভারতীয় ক্রিকেটাররা। লম্বা সময় বায়ো বাবলে থাকায় শরীর এবং মনের উপর যে একটা প্রভাব পড়েছে সেটাও নজর এড়ায়নি কারোই। তবে বিরাট মনে করেন সবকিছু কাটিয়ে উঠা সম্ভব মাঝের এই বিরতিতে।

নিজেদের সেরাটা দিয়ে ফিরতে মরিয়া বিরাট বলেন, ‘এই সাপ্তাহিক বিরতিটা আমাদেরকে দল হিসেবে একসাথে আবার উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করবে। আমি মনে করি আমাদের যথেষ্ট আত্মবিশ্বাস আছে আমরা আবারো নিজেদের সেরাটা দিয়েই ফিরবো।’

পাকিস্তানের বিপক্ষে বল হাতে মোহাম্মদ শামি, ভুবনেশ্বর কুমাররা দিতে পারেননি নিজের সেরাটা। আর সেই চাপটা পড়ে জাসপ্রিত বুমরাহর উপরও। হার্দিক পান্ডিয়ার ইনজুরিটাও দলের জন্য চিন্তার বিষয়। আনফিট হার্দিককে খেলানো নিয়েও কম সমালোচনার মুখে পড়েনি বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। তবে বিরাটের বিশ্বাস সবকিছু কাটিয়ে নিজেদের সেরাটা দিয়ে আবারো কামব্যাক করবে তাঁর দল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link