‘ওল্ড ইজ গোল্ড’ একটি জনপ্রিয় প্রবাদ হলেও ক্রিকেটের দুনিয়ায় এই বাক্য যেন একদমই খাটেনা। ক্রিকেটবিশ্বে বয়স বাড়ার অন্য মানে হলো ফুরিয়ে যাওয়া। বয়স বাড়ে, ফিটনেস কমে, ফর্ম কমে, সেইসাথে ক্রিকেটবোর্ডের চাহিদাও প্রতিস্থাপিত হয়। তেমনই অবস্থা এই মুহুর্তে ভারতীয় ক্রিকেটের। দেশটির ক্রিকেট বোর্ডের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তগুলো একটু মনোযোগ দিয়ে লক্ষ করলেই আমার কথার সাথে মিল খুঁজে পাবেন।
ভারতীয় ক্রিকেট একটা ট্রানজিশনাল পিরিয়ডের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আর এই নিয়ে বাতাসে নানা গুঞ্জন ভাসছে। তবে এটুকু নিশ্চিত যে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, অশ্বিনের মতো সিনিয়র ক্রিকেটারদের জন্য একটা খারাপ সময় আসতে চলেছে।
এক্ষুনি টেস্ট আর ওয়ানডে না হলেও, অন্তত টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এই মুখগুলো ধীরে ধীরে হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল। গুঞ্জন ভাসছে বিসিসিআই যে নতুন পরিকল্পনার ছক এঁকেছেন, সিনিয়র ক্রিকেটারদের বিশ্রামের দোহাই দিয়ে তার বাস্তবায়ন ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে।
বিসিসিআই-এর ঘনিষ্ঠ সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে পিটিআই-এর একটি প্রতিবেদন সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে বিসিসিআই এর নতুন পরিকল্পনায় তারুণ্য নির্ভর একটি দল গড়া এবং হার্দিক পান্ডিয়াকে ভবিষ্যৎ টি-টোয়েন্টি ভারতীয় দলের অধিনায়ক হিসেবে ভাবা হচ্ছে।
পান্ডিয়া ইতোমধ্যেই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারতের তিন ম্যাচ বিশিষ্ট টি-টোয়েন্টি সিরিজের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পেয়েছেন। ২০২২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ‘রোহিত শর্মা অ্যান্ড কোং’-এর ব্যর্থতার পর, এমন সিদ্ধান্ত যে টিম ম্যানেজমেন্টের দীর্ঘকালীন পরিকল্পনার অংশ – সে গুঞ্জন তখনই ছিল।
পিটিআই এর প্রতিবেদনের পর সেটি আরো জোরালো হল। পিটিআই এর দাবি বিসিসিআইয়ের একটি গোপন সূত্র তাঁদের এই তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ‘বিসিসিআই কখনও কাউকে অবসর নিতে বলেনা। এটি সম্পূর্ণ ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। যেহেতু আগামী বছর ওয়ানডে বিশ্বকাপ এবং অনেকগুলো টি টোয়েন্টি ম্যাচও রয়েছে, তাই ভারতীয় দলের সিনিয়র প্লেয়াররা এই ফরম্যাটকে বিদায় জানাতে পারেন। খুব সম্ভবত এই সিনিয়র ক্রিকেটারদের ওয়ানডে এবং টেস্ট ম্যাচগুলিতে মনোনিবেশ করতে বলা হবে।’