নিজেদের দীর্ঘ ক্রিকেট ইতিহাসে ভারত পেয়েছে বহু কিংবদন্তি, সেই কিংবদন্তিরা স্ব স্ব ক্যারিয়ারে ছিলেন দলের উজ্জ্বলতম তারকাদের একজন। অবসর পরবর্তী জীবনে তাঁরাই আবার কোচ হিসেবে আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন উত্তরসূরীর মাঝে। কেউ কেউ অন্য দেশের কোচ হিসেবে সুনাম কামিয়েছেন – তাঁদের নিয়ে আজকের আয়োজন।
- মহিন্দর অমরনাথ
১৯৯৩ সাল, শিশু বাংলাদেশের হাত ধরেছিলেন মহিন্দর অমরনাথ। তিনিই ছিলেন দেশের প্রথম দীর্ঘমেয়াদী হাই প্রোফাইল কোচ। তারকা খ্যাতির চেয়ে ফিটনেস আর পারফরম্যান্সে বেশি মনোযোগ ছিল তাঁর, ফলে ক্রিকেটাররাও সচেতন হয়েছিল অনেক বেশি। মাঠের খেলার পাশাপাশি ড্রেসিংরুমে গুণগত পরিবর্তনও আসে অনেক। অবশ্য প্রত্যাশা জাগিয়েও ১৯৯৪ সালে আইসিসি ট্রফিতে ব্যর্থ হয়েছিল অমরনাথের শিষ্যরা।
- অজয় জাদেজা
আফগানিস্তানের সহকারি কোচ হিসেবে বাজিমাত করেছেন অজয় জাদেজা। ২০২৩ বিশ্বকাপে দলটির বিস্ময়কর পারফরম্যান্সের কৃতিত্ব তাঁকে দিতে হয়। সেই বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড এবং পাকিস্তানের মত দলকেও হারিয়ে দিয়েছিল তাঁর শিষ্যরা।
- সন্দীপ পাতিল
২০০৩ সালে বিশ্ববাসীকে চমকে দিয়ে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিল কেনিয়া। দলটার এমন অভূতপূর্ব সাফল্যের নেপথ্যে ছিলেন সন্দীপ পাতিল। কোচ হিসেবে সে সময়কার কেনিয়াকে ক্রিকেটের অন্যতম উদীয়মান শক্তি হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন তিনি। তাঁর কোচিং প্রতিভা অবশ্য আগেই বোঝা গিয়েছিল, ১৯৯৬ সালে স্বল্পমেয়াদে ভারতের কোচ হয়েছিলেন যখন।
- লালচাঁদ রাজপুত
২০১৬ সালে আফগানিস্তানের দায়িত্ব নেয়ার মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক কোচিং ক্যারিয়ার শুরু হয় লালচাঁদ রাজপুতের। তাঁর অধীনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছিল আফগানরা। এছাড়া ২০১৮ সাল থেকে পরবর্তী চার বছর তিনি জিম্বাবুয়ের কোচ হিসেবে কাজ করেছেন৷ বর্তমানে তাঁকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ডাগআউটে দেখা যায়।
- শ্রীধরন শ্রীরাম
২০১৫ সালে অস্ট্রেলিয়ার এ দলের দায়িত্ব পেয়েছিলেন শ্রীধরন শ্রীরাম। সফল হওয়ার সুবাদে দেশটির জাতীয় দলের পরামর্শক বনে যান তিনি। এরপর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ উপলক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও তাঁকে নিয়োগ দিয়েছিল।
- রবিন সিং
রবিন সিং কাজ করেছেন হংকং, আমেরিকা জাতীয় দলের সঙ্গে। বর্তমানে আরব আমিরাতের ক্রিকেট ডিরেক্টর তিনি। এছাড়া মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এবং বার্বাডোসের কোচ হিসেবে দেখা গিয়েছিল তাঁকে।