ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে টিকে থাকাটাও শক্ত ব্যাপার। ঘরোয়া অঙ্গনে খেলা সবারই স্বপ্ন থাকে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভারতের জার্সি পরার। কিন্তু, হাজার হাজার ক্রিকেটারের ভিড়ে সেই সুযোগটা পান অল্প ক’জন।
বাকিরা প্রচণ্ড প্রতিভাবান হয়েও স্বপ্ন পূরণ করতে পারেন না। এদের মধ্যে কেউ কেউ আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার স্বপ্নে পাড়ি জমান ভিনদেশে। আজ তেমনই কয়েকজনের কথা বলবো।
- কৃষ্ণ চন্দ্রন (সংযুক্ত আরব আমিরাত)
অলরাউন্ডার কৃষ্ণ চন্দ্রন লম্বা সময় ক্রিকেট খেলেছেন কেরালার হয়ে। কিন্তু, সুযোগ যখন পাচ্ছিলেন না চলে যান সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানেই আন্তর্জাতিক অভিষেক হয় তার। আইসিসির সহযোগী দেশটির হয়ে তিনি খেলেছেন ১২ টি ওয়ানডে।
- স্বপ্নীল পাতিল (সংযুক্ত আরব আমিরাত)
ঘরোয়া ক্রিকেটে তিনি খেলেছেন লম্বা সময়। কিন্তু, কখনোই বড় কিছু করার সুযোগ না পেয়ে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান পাড়ি জমান সংযুক্ত আরব আমিরাতে। খেলেন ১৩ টি ওয়ানডে ও ১৮ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর সর্বশেষ ম্যাচটি ছিল ২০১৬ সালের মার্চে। মজার ব্যাপার হল টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের সেই ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল স্বপ্নীলের মাতৃভূমি ভারত।
- মুনিশ আনসারি (ওমান)
ইন্দোরে জন্ম নেওয়া এই ফাস্ট বোলার দীর্ঘদিন খেলেছেন মধ্য প্রদশের হয়ে। জাতীয় দলের অপেক্ষায় ছিলেন অনেকদিন। কিন্তু, সুযোগ বুঝে চলে যান ওমানে। ওমানের হয়ে ১১ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। এর মধ্যে ছিল ২০১৬ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ।
- শক্তি গৌচান (নেপাল)
নেপালের হয়ে একটি ওয়ানডে ও নয়টি টি-টোয়েন্টি খেলা অলরাউন্ডার শক্তি গৌচান এক সময় ভারতীয় জাতীয় দলে খেলার স্বপ্ন দেখতেন। কারণ, তিনি এক সময় খেলতেন মুম্বাইয়ে। এই শহরের অনূর্ধ্ব ১৫ ও অনূর্ধ্ব ১৭ দলে খেলেছেন। তবে, তাঁর ভারতের জার্সি পরার স্বপ্ন আদৌ পূরণ হয়নি।
- জিত রাভাল (নিউজিল্যান্ড)
এই তালিকায় তাঁর নামটাই সবচেয়ে বেশি আকর্ষণীয়। জন্ম আহমেদাবাদে। ভারতের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান পার্থিব প্যাটেল ছিলেন তার স্কুলের বন্ধু। খেলেছেন স্কুল ক্রিকেটও। গুজরাটের হয়ে খেলেছেন বয়সভিত্তিক ক্রিকেট। সেখানে তাঁর সতীর্থ ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা, আজিঙ্কা রাহানে, ইশান্ত শর্মা, পিযুষ চাওলারা। এরপরই তার পরিবার চলে আসে নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে। ঘরোয়া ক্রিকেটে মুগ্ধ করার পর এই ওপেনারের নিউজিল্যান্ডের হয়ে টেস্ট অভিষেক হয় ২০১৬ সালে।