ভারতের আগ্রাসী টেস্ট রহস্য!

‘রোহিত মাঠে কি বোঝাতে চান, সেটা আমরা ভালই বুঝি’ - বলছিলেন ঋষাভ পান্ত। আর অধিনায়কও যখন নেমেই টেস্টে দু’টো ছক্কা মারতে জানেন, তখন দলও তাঁর নির্দেশ পালন করতে বাধ্য।

দশ বছর আগে বিরাট কোহলি ভারতীয় টেস্ট দলের নেতৃত্ব পান। সেসময় থেকেই ভারতীয় ক্রিকেট পাড়ায় একটা শব্দের পরিচিতি তৈরি হয়। শব্দটা হলো ‘’ইন্টেন্ট’। সেসময় থেকেই ভারতীয় টেস্ট ব্যাটিংয়ে মারকুটে সংস্কৃতি ফুটে উঠতে থাকে।

সে সময় ব্যাট করা দেখলে যেন মনে হতো ম্যানেজমেন্ট কিছুটা জোরই দিচ্ছে। যেন দল বেশি স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করে। এটা ম্যাচগুলোতে ভিন্ন একটা মাত্র যোগ করত।

সেসময়কার বোলিংয়েও দেখা যায় আগ্রাসন। কোহলির নেতৃত্ব কালে ভারত টেস্ট বোলিংয়ে পেস অ্যাটাকে ছিলেন তিনজন। এক তরুণ সম্ভাবনাময় জাসপ্রিত বুমরাহ, ক্ষুরধার ইশান্ত শর্মা আর মোহাম্মদ শামি। যারা বল হাতে হয়ে ওঠেন তুরুপের তাস।

কোহলি যুগ এককথায় অধিনায়ক রোহিতের জন্যই শক্ত মজবুত ভিত্তির এক দল রেখে যায়। কানপুর জয়ের পর রোহিত বিসিসিআই টিভিতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমার জন্য আগ্রাসন নিজের কাজে ফুটে ওঠে, আচরণে না।’

আদতেও তাই। কানপুর টেস্ট বৃষ্টির কারণে প্রায় দু’দিনে নেমে আসে। দুই দিনেই বাংলাদেশের ওপর এক কথায় স্টিম রোলার চালায় ভারত। বড় অবদান রোহিত শর্মার। তাঁর প্রভাবেই দলের পারফরম্যান্স ছিল আগ্রাসী, খেলতে নয় – যেকোনো ভাবে জয় বের করতে মরিয়া ছিল ভারত।

‘রোহিত মাঠে কি বোঝাতে চান, সেটা আমরা ভালই বুঝি’ – বলছিলেন ঋষাভ পান্ত। আর অধিনায়কও যখন নেমেই টেস্টে দু’টো ছক্কা মারতে জানেন, তখন দলও তাঁর নির্দেশ পালন করতে বাধ্য।

অশ্বিন বলেন, ‘রোহিত যদি দলকে বলে ৫০ ওভারে ৪০০ করতে প্রথম দু’বল সে ছক্কা দিয়েই শুরু করবে।’ এটাই রোহিতের স্টাইল। তিনি প্রথমে একটা ‘ডেমো’ দেবেন, সেটা ফলো করে জয় আনবে দর।

তবে রোহিত যুগও বেশিদিন নেই আর। ছয় মাসে পা রাখবেন ৩৮ বছরে। তবে নতুন যেই দায়িত্ব নেবেন পাবেন শক্ত ভিত্তির এক দল। যার পেছনে আছে সমৃদ্ধ এক পাইপলাইন।

Share via
Copy link