বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের পেসার সংকট

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল), টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সবমিলিয়ে টেস্ট থেকে ভারত দূরে আছে লম্বা একটা সময়। ঘরোয়া অঙ্গনেও লাল বলের টুর্নামেন্ট হচ্ছে না অনেকদিন। তবে দুলীপ ট্রফি দিয়ে অবশেষে ভাঙছে অচলাবস্থা।

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল), টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সব মিলিয়ে টেস্ট থেকে ভারত দূরে আছে লম্বা একটা সময়। ঘরোয়া অঙ্গনেও লাল বলের টুর্নামেন্ট হচ্ছে না অনেকদিন। তবে দুলীপ ট্রফি দিয়ে অবশেষে ভাঙছে অচলাবস্থা। তরুণ ক্রিকেটাররা নিজেদের চেনানোর জন্য কিংবা অভিজ্ঞরা নিজেদের প্রস্তুতি সারতে বাড়তি মনোযোগী এবারের আসর নিয়ে।

জাতীয় দলের নির্বাচকদেরও কড়া নজর থাকবে; কারণ সামনেই বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ, এরপরই মহাগুরুত্বপূর্ণ অজি পরীক্ষা। তাই তো স্কোয়াড ঘোষণার আগে ক্রিকেটারদের ফর্ম যাচাই করে নেয়াটা বেশ জরুরি।

বিশেষ করে পেস বিভাগ নিয়ে এখনো সংশয় কাটেনি; মোহাম্মদ শামির চোটের কারণে তৃতীয় পেসারের জায়গা এখনো নিজের দখলে নিতে পারেননি কেউই। জাসপ্রিত বুমরাহ আর মোহাম্মদ সিরাজ ছাড়া প্রতিষ্ঠিত পেসারও নেই এ মুহূর্তে। মুকেশ কুমার অবশ্য আশা দেখিয়েছিলেন শুরুর দিকে, কিন্তু তাঁর অফ ফর্মের সুবাদে সুযোগ পাওয়া আকাশ দীপকে সুযোগ দেয়া হয়। সেই সুযোগ দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছেন আকাশ।

সে জন্যই দুলীপ ট্রফিতে পেসারদের ওপর প্রমাণের চাপ থাকবে বেশি; মুকেশ কিংবা আকাশ ছাড়াও জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার দৌড়ে আছেন খলিল আহমেদ, আভেশ খানরা। আবার তুলনামূলক তরুণদের মধ্যে ইয়াশ দয়াল, বিদওয়ান্ত কাভেরেপ্পা, ভাইশাক বিজয়কুমারের নাম শোনা যাচ্ছে। এছাড়া তুষার দেশপান্ডে, হার্ষিত রানা, নবদীপ সাইনীও আছেন ভাবনায়।

ভারতের পেস আক্রমণভাগ কেমন হতে পারে সেটি নিয়ে সাবেক বোলিং কোচ পরশ মাম্ব্রে বলেন, ‘আমি তিন বা চারজন পেসারকে আপাতত দলের সঙ্গে দেখতে চাই। এর মধ্যে একজন বাঁ-হাতি হতে পারে; একজন এমন হবে যে ভিন্ন কিছু করতে পারে।’

এরই ধারাবাহিকতায় প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা, খলিলের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘৩০-৩৫ ওভারের পর উইকেট ফ্ল্যাট হয়ে যায় তখন প্রসিদ্ধের মত কাউকে দরকার যে অতিরিক্ত বাউন্স আদায় করতে জানে। আবার ফর্মও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, আভেশ বা খলিল যদি দুলীপ ট্রফিতে ভাল করতে পারে তাহলে তাঁদের একজনকে তৃতীয় পেসার হিসেবে খেলানো যায়।’

Share via
Copy link