ভারতের অর্ডারে পরিবর্তন দরকার ছিল আগেই। এই টেস্ট সাইকেলের মাঝে বা শুরুর দিকে। ডেটার দিকে যদি দেখি, চেতেশ্বর পূজারাকে দলে রাখার যুক্তি খুঁজে পাওয়া মুশকিল। একে সেভাবে রান নেই, অ্যাপ্রোচের জন্যও ভুগতে হয়েছে দলকে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তো বটেই।
তবে হঠাৎ করে কি ফাইনালের আগে তাঁকে বাদ দেওয়া যেত? আজ্ঞে না, অতো সহজ নয়। কাউন্টিতে তিনি গাদা গাদা রান করেছেন। সেঞ্চুরি হাকিয়েছেন। পূজারা বাদ গেল, আর ইন্ডিয়ার ব্যাটিং ভেঙে পরলো। আপনি কি নির্বাচকদের ছাড়তেন?
ভারত ঘরের মাঠে যে ধরণের পিচ তৈরি করছে, তা পরিবর্তন হওয়া প্রয়োজন। দেশে খেলা হলে অ্যাডভান্টেজ সবাই নেয়, কিন্তু তাঁরা বেশিরভাগ সময় যে পিচ বানাচ্ছে তা ভালো ব্যাটিংয়ের পরিপন্থী। যা কিছুটা হলেও আমাদের ব্যাটসম্যানদের মানসিকতায় আঘাত এনেছে। বড় ইনিংস খেলাও অভ্যাস করতে হয়।
৩০ কে ৬০, ৬০ কে ১২০ করার অভ্যাস কোহলিরা ভুলতে বসেছেন। লাস্ট কবে ঘরের মাঠে আমরা ডিসেন্ট উইকেট বানিয়েছি মনে পরে না। অস্ত্রেলিয়া সিরিজে শেষ টেস্ট ম্যাচের পিচও ব্যাটিং উইকেট ছিল না। স্লো, লো, ডেড উইকেট ছিল। এতে আমাদের পেসাররাও উপকৃত হচ্ছেন না। ঘরের মাঠে তাঁরা সে ভাবে লম্বা স্পেল করেছেন কই! বিদেশে গিয়ে হটাৎ করে সবাই দুর্দান্ত বল করবেন, এটা আশা করাই অন্যায়। সব ম্যাজিক না। একটা টেস্টে তো কাজটা আরও কঠিন।
একটা সময় মোহালি তে নিয়মিত টেস্ট হত। দুর্দান্ত পিচ হত। সেখানে আর টেস্ট হয় না। ইডেনের পিচও চরিত্র বদলেছে। বেশিরভাগ সময় আমেদাবাদ, চেন্নাইয়ে খেলা। অন্য জাতীয় উইকেটে কী ভাবে খেলতে হয় তা আমাদের ব্যাটসম্যানরা ভুলতে বসেছেন।
বিসিসিআই-ও বোধহয় চায় না যে ভারত টেস্টে নিয়মিত ভালো খেলুক। যে ভাবে টি-টোয়েন্টি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে! দুলীপ, দেওধর, চ্যালেঞ্জার ট্রফি সেভাবে হয়? হলেও গুরুত্ব পায়? ডোমেস্টিক মৌসুম ক্রমশ ছোট হচ্ছে। রঞ্জির অবস্থাও তেমন। গুণগত মান তলানিতে গেছে। ভারতীয় ‘এ’ দলের বিদেশ সফরের সংখ্যা কমেছে। সেই ফল আমরা পাচ্ছি।
দুটো আলাদা সেট আপ দরকার। সাদা বল, লাল বল। আমরা এখনও সেটা বুঝিনি। টি-টোয়েন্টির জন্য, ২০ ওভারের ম্যাচ, ভেবেই দল সাজাতে হবে। একদিনের দল না। খেলতেও হবে সেই আপ্রোচে। টেস্টের জন্য আলাদা হবে আলাদা সেট আপ। ইংল্যান্ড সেটা করেছে। অজিরাও সেই পথে হাঁটছে। অন্যদিকে, ভারত বা বিসিসিআই কি করছে! শেষে এটাও বলে রাখি পান্থ, বুমরার অভাবে ভুগতে হবে জানতাম। সেটা হলোও।