আইপিএলে ঠাঁই মেলেনি তাঁদের

২০০৭ সালে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ঘোষনা দেয় বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। চালু হয় ২০০৮ সাল থেকে। এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চলছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-টোয়েন্টি এই টুর্নামেন্ট।

আইপিএল খেলে রাতারাতি তারকা বনে গেছেন অনেকেই। আবার অনেকে ব্যর্থ হয়েছেন। আবার কেউ কেউ আছেন, যারা সামর্থ্য থাকার পরও খেলার সুযোগ পাননি আইপিএলে।

  • দিনেশ চান্দিমাল (শ্রীলঙ্কা)

ক্যারিয়ারের শুরুতে তাঁকে মনে করা হত কুমার সাঙ্গাকারা কিংবা মাহেলা জয়াবর্ধনেদের উত্তরসুরী। কালের প্রভাবে সেই তকমা তাঁর শরীর থেকে মিলিয়ে গেছে। অধিনায়কত্ব করলেও তাতে বড় সাফল্য নেই। তবে, টি-টোয়েন্টিটা নিয়মিতই খেলতেন। ২০১৩ সালে একটা ফ্র্যাঞ্চাইজির পক্ষ থেকে তাঁর সাথে যোগাযোগ করা হলেও তিনি রাজি হননি।

  • মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ (বাংলাদেশ)

বরাবরই টি-টোয়েন্টির অলরাউন্ডারদের র‌্যাংকিংয়ে সেরা দশে থাকেন মাহমু্দউল্লাহ রিয়াদ। বাংলাদেশ দলেও টি-টোয়েন্টির বড় পারফরমার তিনি। তবে, কখনোই আইপিএলের কোনো দল তাঁর প্রতি আগ্রহ দেখায়নি। যদিও, বাংলাদেশের এই টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক খেলেছেন ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল)।

  • স্টুয়ার্ট ব্রড (ইংল্যান্ড)

ইংল্যান্ডের ইতিহাসের অন্যতম সেরা পেসার তিনি। তবে, তিনি বেশি আলোচিত হয়েছিলেন যুবরাজ সিংয়ের বিপক্ষে এক ওভারে ছয় ছক্কা হজম করে। ২০১১ ও ২০১২ দু’বারই তাঁকে দলে নিয়েছিল সেই যুবরাজ সিংয়ের দল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। যদিও, ইনজুরির কারণে কোনো আসরই তাঁর খেলা হয়নি। পরে আর ডাক আসেনি। ব্রড নিজেও সীমিত ওভারে অনিয়মিত হয়ে যান।

  • তামিম ইকবাল (বাংলাদেশ)

টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিনটি সেঞ্চুরি আছে তাঁর। একটি বিশ্বকাপে, একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে, একটা ঘরোয়া ক্রিকেটে। যদিও, তিনি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাননি আইপিএলে। দুই আসর তিনি পুনে ওয়ারিয়র্সের ডাগ আউটে বসে ছিলেন। পরে আর তাঁর ডাক আসেনি। পুনে ওয়ারিয়র্স দলও আর আইপিএলে নেই।

  • জো রুট (ইংল্যান্ড)

ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক জো রুট সময়ের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। বিরাট কোহলি, স্টিভেন স্মিথ কিংবা কেন উইলিয়ামসনদের সাথে উচ্চারিত হয় তাঁর নাম। তিনি দীর্ঘকাল আইপিএল থেকে দূরে ছিলেন। ২০১৮ সালে নিলামে ওঠে তাঁর নাম। তবে, কোনো দলই তাঁর ব্যাপারে আগ্রহ দেখায়নি।

  • মুশফিকুর রহিম (বাংলাদেশ)

বাংলাদেশের টি-টোয়েন্টি দলে অবধারিত তাঁর নাম। বেশ কার্যকর হিসেবেও পরিচিত। কয়েকবার নিলামে তাঁর নাম উঠলেও কেউ আগ্রহী হয়নি। বরং উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান হিসেবে কুইন্টন ডি কক, জস বাটলার কিংবা জনি বেয়ারস্টো’র মত ক্রিকেটারদের চায় ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো।

  • ভার্নন ফিল্যান্ডার (দক্ষিণ আফ্রিকা)

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৫ রান দিয়ে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর নতুন একটা ফ্যাঞ্চাইজি এই পেসারকে দলে নেওয়ার দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছিল। দুই লাখ ডলার পারিশ্রমিকও ঠিক হয়ে যায় তখনই। তবে, কাউন্টি ক্রিকেটে সামারসেটের সাথে চুক্তি থাকায় আইপিএল খেলতে পারেননি তিনি।

  • কেভিন ও’ব্রায়েন (আয়ারল্যান্ড)

হার্ড হিটার হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তাঁর খ্যাতি আছে। আর এর বড় সাক্ষী ভারত। ২০১১ বিশ্বকাপে ব্যাঙ্গালুরুতে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুতগতির সেঞ্চুরিটা করেন এই আইরিশ। ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল অবধি আইপিএলের নিলামে তাঁর নাম উঠেছিল। কিন্তু, কেউ আগ্রহ দেখায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link