আরও নিয়ম বদল আইপিএলে

বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) আইপিএলের ম্যাচের সময় কমিয়ে দিয়েছে। আইপিএলের প্রত্যেক ইনিংস এখন থেকে ৯০ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। আগে ৯০তম মিনিটের সময় ২০তম ওভার শুরু করা হত।

আইপিএলের আগ মুহুর্তে দুইটি বিষয়ের পরিবর্তন নিয়ে আসলো ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। দুইটি বিষয়ই অনেক আলোচনার বিষয়। এর মধ্যে সফট সিগন্যাল তো অনেক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আর একটি পরিবর্তন হলো ম্যাচের সময়সীমা কিছুটা কমানো হয়েছে।

বিসিসিআই আইপিএলের ম্যাচের সময় কমিয়ে দিয়েছে। আইপিএলের প্রত্যেক ইনিংস এখন থেকে ৯০ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। আগে ৯০তম মিনিটের সময় ২০তম ওভার শুরু করা হত।

আইপিএলের ফ্রাঞ্চাইজিগুলোকে পাঠানো এক মেইলে বিসিসিআই জানায়, ‘ম্যাচের সময় পরিমাপ করে দেওয়া হয়েছে। এখন থেকে ইনিংসের ২০তম ৯০ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হবে। এর আগে ৯০ মিনিটের সময় ২০তম ওভার শুরু করা হত।’

বেশ বিশদ ভাবে দলগুলো মেইল করেছে বিসিসিআই। মেইলে তাঁরা বলেছে, এই বারের আইপিএলে ওভার রেট হবে ১৪.১১। কোনো বাঁধা ছাড়া যেসব ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে সেখানে প্রতি ঘন্টায় ১৪.১১ ওভার শেষ হবে (টাইম আউটের সময় ছাড়া )। এই ওভার রেটে একটি ইনিংস শেষ হতে সময় লাগবে ৮৫ মিনিট। এর সাথে ৫ মিনিট থাকবে স্ট্রাটেজি টাইম আউট। যদি কোনো কারণে কোন ম্যাচ বাধাপ্রাপ্ত হয় তাহলে প্রতি ৪ মিনিট ১১ সেকেন্ডের জন্য এক ওভার করে কম খেলা হবে। খেলা শুরুর পূর্বনির্ধারিত সময় থেকে ৯০ মিনিট হিসাব করা হবে।

আইপিএলের ম্যাচে সময় মেনে চলা হচ্ছে কিনা সেটা দেখার জন্য চতুর্থ আম্পায়ারকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তিনি দেখবেন সময় মেনে চলছে কিনা। এছাড়াও ব্যাটিং এবং বোলিং দল দুই দলের বিষয়ে লক্ষ্য রাখবেন তিনি। প্রয়োজনে দলগুলোকে সতর্ক করবেন।

বিসিসিআই জানিয়েছে আইপিএলে কোনো সফট সিগন্যাল থাকবে না। নতুন নিয়ম অনুযায়ী থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের কোনো প্রভাব থাকবে না। বিসিসিআই বিবৃতিতে বলেছে, ‘যখন কোনো সিদ্ধান্ত মাঠের আম্পায়ারের কাছ থেকে থার্ড আম্পায়ারের কাছে যাবে তখন সফট সিগন্যাল কার্যকর হবে না।’

বিসিসিআই আরো জানায়, ‘মাঠের দুই আম্পায়ারের যদি টিভি আম্পায়ারের সহায়তা নিতে হয় তাহলে প্রথমে বোলার প্রান্তের আম্পায়ার স্ট্রাইকার প্রান্তের আম্পায়ারের সাথে কথা বলে নিবেন। এরপর যদি সিদ্ধান্ত নিতে না পারেন, তাহলে বোলার প্রান্তের আম্পায়ার সিগন্যাল দিয়ে থার্ড আম্পায়ারকে জানাবেন। এরপর থার্ড আম্পায়ার তাঁর সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় সব কিছু দেখবেন। এরপর তিনি তাঁর সিদ্ধান্ত জানাবেন।‘

বিশ্ব ক্রিকেটে সফট সিগন্যাল বাতিলের জন্য শোরগোল তৈরি হয়েছে। ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি এই সফট সিগন্যালের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি সোচ্চার। বিরাট কোহলি লেগ বিফোর উইকেটের (এলবিডব্লিউ) জন্য আম্পায়ারস কলের বিপক্ষে।

কিন্তু, বিসিসিআই এই ক্ষেত্রে আম্পায়ারস কল নিয়মের কোনো পরিবর্তন আনে নি।  আম্পায়ারস কল মূলত ডিআরএসের বিষয়। এখানে বোলার প্রান্তের সিদ্ধান্ত অন ফিল্ড সিদ্ধান্ত হিসেবে নেওয়া হয়। আম্পায়ারস কল ব্যতিক্রম কিছু নিয়মের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হয়। এছাড়া এখানে প্রযুক্তি ব্যবহার করে ইম্প্যাক্ট জোন নাকি উইকেট জোনে পড়ে সেটা নির্ধারণ করা হয়।

এছাড়াও শর্ট রানের বিষয়টি এখন থেকে থার্ড আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের উপর থাকবে। কারণ গত মৌসুমে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব (বর্তমান পাঞ্জাব কিংস) এবং দিল্লি ক্যাপিটালসের মধ্যকার খেলার সময় শর্ট রান হয়েছিলো যা অনেক বিতর্কের সৃষ্টি করে। এইসব নিয়ম ভারতীয় ক্রিকেটে এপ্রিলের ১ তারিখ থেকে চালু হয়ে যাবে।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...