২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক পাকিস্তান, সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারিতে শুরু হবে মর্যাদার এই টুর্নামেন্ট। তাই তো পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) সময় পরিবর্তন করতে হবে, আর সেটা নিয়েই সভায় বসেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড এবং ছয়টি ফ্রাঞ্চাইজি। সেখানে আলোচনা হয়েছে পরিবর্তিত সূচি সহ আরো অনেক বিষয়ে, যেগুলো কার্যকর হলে বদলে যাবে ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটের হালচাল।
ফেব্রুয়ারি-মার্চের পরিবর্তে আগামী মৌসুমে এপ্রিল ও মে মাসে পিএসএল আয়োজনের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছে। অর্থাৎ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) সঙ্গে একইসাথে আয়োজিত হবে এই লিগ। এছাড়া বিদেশি তারকাদের দলে ভেড়াতে সর্বোচ্চ পারিশ্রমিকের পরিমাণ বাড়ানো হতে পারে।
ইতোমধ্যে একাধিক ফ্রাঞ্চাইজি এসব প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। তবে বাকিদের কেউ বিরোধিতা করেছে আবার কেউ কোন সিদ্ধান্ত জানায়নি। বিরোধী পক্ষের মধ্যে লাহোর কালান্দার্স অন্যতম, তাঁরা আইপিএলের সাথে মুখোমুখি হওয়ার ঝুঁকি নিতে আগ্রহী নয়।
তবে পিসিবি ঝুঁকির ব্যাপারে একটু বেশিই আগ্রহী হয়ে উঠেছে। কেবল ২০২৫ সালের জন্য নয়, স্থায়ীভাবেই আইপিএলের পাশাপাশি ঘরোয়া লিগ শুরু করতে চায় তাঁরা। যুক্তি হিসেবে বলা হয়েছে, ডিসেম্বর ও জানুয়ারি মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ব্যস্ত সূচি চলমান থাকে। আবার বিগ ব্যাশ, আইএল টি-টোয়েন্টি কিংবা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) কাছাকাছি সময়ে মাঠে গড়ায়।
সেজন্য এপ্রিল ও মে মাসের উইন্ডোর দিকে নজর দিয়েছে পিএসএলের নীতিনির্ধারকরা। কেননা, এই সময়টাতে সাধারণত টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর কোন ম্যাচ থাকে না। অন্য লিগ চলমান থাকার প্রশ্নই উঠে না। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, রমজান মাস। আগামী কয়েক বছর ফেব্রুয়ারি-মার্চে রোজা পালন করবেন মুসলিমরা। এসময় পিএসএল আয়োজন করলে দর্শকের উপস্থিতিও কমবে, খেলোয়াড়দের অসুবিধা তো হবেই।
অন্যদিকে পিএসএলকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠিত করতে প্লে-অফের ম্যাচগুলো বিদেশে আয়েজন করার বিলাসি পরিকল্পনা করেছে পিসিবি। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে ব্যাপক সংখ্যক পাকিস্তানীর উপস্থিতি থাকায় সেটাই হয়তো কাঙ্খিত গন্তব্য হবে। এখন দেখার বিষয়, সংস্থাটির এসব সিদ্ধান্ত আদৌ আলোর মুখ দেখবে নাকি কাগজের স্তুপেই রয়ে যাবে।