আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে নেই ঈশান কিষাণ। গত এক বছরের বেশি সময় ধরে তিন ফরম্যাটেই ভারতীয় স্কোয়াডের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন তিনি। তাহলে হঠাৎ করে বাদ পড়লেন কেন – তাঁকে কি বিশ্রাম দেয়া হয়েছে নাকি অন্য কোন কারণে দলের বাইরে এই তরুণ।
রহস্যজনক এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে একটু পিছনে ফিরে যেতে হবে, দক্ষিণ আফ্রিকা বনাম ভারতের মধ্যকার টেস্ট সিরিজে দলে রাখা হয়েছিল ঈশানকে। কিন্তু আগেই নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল যে, লোকেশ রাহুলই খেলতে যাচ্ছেন স্পেশালিষ্ট উইকেটরক্ষক হিসেবে। আর এই তথ্য হতাশ করে তোলে এই বাঁ-হাতিকে; মানসিক অবসাদজনিত ক্লান্তি ও পারিবারিক কারণ দেখিয়ে বোর্ডের কাছে ছুটি চেয়ে বসেন তিনি।
যৌক্তিকতা বিচার করে ছুটি দেয়াও হয়েছিল তাঁকে; কিন্তু এরপরই সবাইকে চমকে দেন এই তারকা। পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়ার পরিবর্তে তিনি চলে যান দুবাইয়ে। এমনকি সেখানে পার্টি করতে দেখা যায় তাঁকে। খোদ বোর্ড অব কনট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই) ঈশানের এমন কাণ্ডজ্ঞানহীন আচরণে প্রচণ্ড বিরক্ত।
বিসিসিআইয়ের অভ্যন্তরীণ একটি সূত্র জানায়, ‘সে টিম ম্যানেজমেন্টকে বলেছিল যে তাঁর মানসিক অবসাদ দেখা দিয়েছে কারণ টানা দলের সাথে বিভিন্ন দেশে ঘুরছে। এবং সে বাড়িতে ফিরে তার পরিবারের সাথে সময় কাটাতে চেয়েছিল। অথচ ছুটি পাওয়ার পর সে দুবাই ভ্রমণ করতে চলে গেল, সেখানে তাঁকে পার্টি করতে দেখা গিয়েছে।’
যখন যেই সুযোগ এসেছে সেটাই কাজে লাগিয়েছিলেন এই সব্যসাচী ব্যাটার। টপ অর্ডার, মিডল অর্ডার দুই পজিশনেই খেলেছেন; দারুণ পারফর্মও করেছেন। তবুও কম্বিনেশনের কারণে একাদশে তাঁর জায়গা পাকা হয়নি, দিনের পর দিন বসে থাকতে হয়েছে সাইড বেঞ্চে। এসবের ফলে হতাশা আসাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
সত্যি বলতে, এসব নিয়ে কারো কোন প্রশ্নও নেই। জরুরি ভিত্তিতে ছুটি নিয়ে সেটার অপব্যবহার করাটা ভাল ভাবে নিতে পারেনি ভারতীয় ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা। অবশ্য এই তারকার কাছের মানুষরা পাল্টা যুক্তিও দিয়েছেন। তাঁদের মতে, তাঁকে তো ছুটি দেয়াই হয়েছে অবসাদ কাটানোর জন্য।
আর সেটা করতে যদি, ঈশান দুবাই গিয়ে পার্টিও করেন, তাতে ক্ষতি কি! আর দুবাইয়ে তিনি গেছেন ভাইয়ের জন্মদিন উদযাপন করতে। বিষয়টাকে স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে দেখতে চাইলেও বিসিসিআইয়ের ভাবনা ভিন্ন। এতে করে ঈশান লম্বা মেয়াদে বিপদে পড়লেও অবাক হওয়ার কিছু নেই।