ঈশান কিষাণ, জোড়া ছক্কায় ভেসে যাবে অন্যায়

তবে এখানেই শেষ নয়, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাঝেই দলকে জিতিয়েছেন তিনি। জয়ের জন্য যখন বারো রান প্রয়োজন ছিল তখন ঝাড়খণ্ডের হাতে ছিল মাত্র দুই উইকেট। সে সময় ২৯ রানে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটার আকাশ রাজওয়াতকে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে পূর্ণ করেন সকল আনুষ্ঠানিকতা।

নেতিবাচক কারণেই এখন বেশি খবরের শিরোনাম হন ঈশান কিষাণ, মাঠের চেয়ে মাঠের বাইরে কি করছেন সেটাই হয়ে উঠেছিল আলোচনার বিষয়। তবে এবার মাঠের পারফরম্যান্স দিয়েই লাইমলাইটে আসলেন তিনি। মধ্যপ্রদেশের বিপক্ষে প্রায় একা হাতে ঝাড়খণ্ডকে জেতানোর পর তাঁকে নিয়ে শুরু হয়েছে বন্দনা।

বুচি বাবু টুর্নামেন্ট দিয়েই বহুদিন পর লাল বলের খেলায় ফিরেছেন এই বাঁ-হাতি। তবে ব্যাটে মরচে পড়েনি একদমই, প্রথম ইনিংসে মাত্র ৮৬ বলে সেঞ্চুরি করে প্রত্যাবর্তনকে রাঙিয়ে দেন তিনি। শেষমেশ অবশ্য ১০৭ রান করে থামতে হয় তাঁকে।

তবে এখানেই শেষ নয়, দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মাঝেই দলকে জিতিয়েছেন তিনি। জয়ের জন্য যখন বারো রান প্রয়োজন ছিল তখন ঝাড়খণ্ডের হাতে ছিল মাত্র দুই উইকেট। সে সময় ২৯ রানে অপরাজিত থাকা এই ব্যাটার আকাশ রাজওয়াতকে দুই ছক্কা হাঁকিয়ে পূর্ণ করেন সকল আনুষ্ঠানিকতা।

অবশ্য এই ফ্রেন্ডলি টুর্নামেন্ট খেলারই কথা ছিল না ঈশানের, কিন্তু পরবর্তীতে খেলার ইচ্ছের কথা জানান তিনি। এই ব্যাপারে ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘ঈশানের সামর্থ্য নিয়ে কোন প্রশ্নই ছিল না, সে কখন ফিরতে চায় সেটাই ছিল মূল প্রশ্ন। যখন সে ফেরার কথা জানিয়েছিল তখনই আমরা তালিকায় তাঁর নাম যুক্ত করেছিলাম।’

এর আগে সর্বশেষ ২০২২ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে চার দিনের ম্যাচ খেলেছিলেন এই তারকা। দীর্ঘ সময়ের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে পুনরায় ফিরলেন তিনি, সবকিছু ঠিক থাকলে এবারের রঞ্জি ট্রফিতেও খেলবেন।

মাঝের সময়টাতে ছুটি কাটানোর জন্য অবশ্য বড়সড় মাশুল দিতে হয়েছে তাঁকে। বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে জায়গা হয়নি তাঁর। সেটি নিয়ে জয় শাহ সরাসরি জানিয়ে দিয়েছিলেন যে চুক্তিতে থাকতে হলে অবশ্যই নিয়ম মানতে হবে এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে নিয়মিত খেলতে হবে।

Share via
Copy link