লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেটের এলিমেনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল ইন্ডিয়া ক্যাপিটালস এবং গুজরাট জায়ান্টস। আগে ব্যাট করতে নেমে গৌতম গম্ভীরের ঝড়ো হাফসেঞ্চুরিতে ২২৩ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় ক্যাপিটালস, ব্যাটিং বান্ধব এই সময়টাতেও এমন টার্গেট নি:সন্দেহে পাহাড়সম।
তাই তো গুজরাট জিতবে এমন বাজি কেউই ধরেনি। শেষ মেশ তাই হয়েছে, গম্ভীরের দল জয় তুলে নিয়েছে। কিন্তু ক্রিস গেইলের বিধ্বংসী ইনিংস নজর এড়ায়নি দর্শকদের, ৫৫ বলে ৮৪ রান এসেছিল তাঁর ব্যাট থেকে। যতক্ষণ তিনি ক্রিজে ছিলেন ততক্ষণ ক্যাপিটালসের লক্ষ্যকে ছোটই মনে হয়েছিল।
উনিশতম ওভারে ইসুরু উদানার বলে আউট না হলে হয়তো ইউনিভার্স বস দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়তেন। জয়ের স্বাদ না পেলেও অবশ্য পাওয়ার হিটিংয়ের পসরা বসিয়ে ভক্তদের বিনোদন দিয়েছেন তিনি।
মাঠে এবং মাঠের বাইরে তাঁর অদ্ভুত চালচলন দিয়ে দর্শকদের রোমাঞ্চিত করেন এই ব্যাটার। আগ্রাসী ব্যাটিং আর সদা উজ্জ্বল হাসিতে মন জয় করে নিয়েছেন তিহি, তাই তো ভক্তরা প্রায়শই তার পোস্টার নিয়ে হাজির হয় স্টেডিয়ামে, লিজেন্ডস লিগ ক্রিকেটেও সেটার ব্যতিক্রম হয়নি।
ম্যাচ শেষে গণমাধ্যমকেও খানিকটা সময় দিয়েছেন এই তারকা। প্রথমেই তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল ক্রিস গেইল হতে চাইলে কি করতে হবে? উত্তরে তিনি বলেন, ‘দেখুন আমি বছরের পর বছর এটি করে আসছি। এসব প্রাকৃতিকভাবেই আসে, শুধু প্রাকৃতিকভাবেই নয়, আমাকে আগে অনুশীলনও করতে হয়েছে। এখন অবশ্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলছি না, তাই কেবল পুরনো স্মৃতির সাহায্যে বলগুলো মাঠ ছাড়া করি।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে তাঁর মত কেউ আছে কি না এমন প্রসঙ্গে এই বাঁ-হাতি বলেন, ‘নাহ। ইউনিভার্স বস কেবল একজনই হতে পারে।’ তবে নিজের উত্তরসূরীদের ওপর প্রত্যাশা ঠিকই আছে তাঁর। তিনি বলেন, ‘তাঁরা ৫০ ওভারের বিশ্বকাপে খেলতে পারেনি, তাই তাঁদের জন্য ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ দারুণ সুযোগ। এটি সমর্থকদের খুশি করার জন্য একটি ভাল মঞ্চ হতে যাচ্ছে।’
গেইল বলেন, ‘ক্রিস গেইলকে বড় বড় ছক্কা মারার জন্য ফিরিয়ে আনার ইচ্ছা আমার’ (হাসি)। কিন্তু এটা এখন আর সম্ভাবনা নয়। আমি এখন দেখতে চাই, তরুণরা আসলে একটা কিছু করুক। ফলাফল যাই হোক ভক্তদের গর্বিত করে এমন পারফরম্যান্স করুক তাঁরা।’