আইরিশদের আরেকটি অবিশ্বাস্য রাতের গল্প

ব্যাটিংয়ের মত বল হাতেও ঐক্যবদ্ধ ছিল আয়ারল্যান্ড। মার্ক অ্যাডায়ার নতুন বলে দুই উইকেট আদায় করে নিয়েছিলেন, ক্রেইগ ইয়ং গুঁড়িয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের মিডল অর্ডার।

অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকেই তাঁর সৌরভ ছড়িয়ে পড়েছিল ক্রিকেট বিশ্বে; কিন্তু কলি থেকে ফুল হয়ে উঠতে পারেননি তিনি, অধারাবাহিক প্রতিভা হিসেবেই থমকে গিয়েছিলেন। তবে জেসন স্মিথ নিজেকে শুধরে নিয়েছেন ঠিকই, সেই সুবাদে ২৯ বছর বয়সে অভিষেক হয় জাতীয় দলে আর ক্যারিয়ারের মাত্র দ্বিতীয় ওয়ানডেতে খেললেন মনে রাখার মতই একটা ইনিংস।

২৮৫ রানের লক্ষ্যে ১০ রানেই নেই তিন উইকেট, ৫৯ রানের সময় পতন ঘটে চতুর্থ ব্যাটারের। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার পিঠ যখন দেয়ালে ঠেকে গিয়েছিল তখনই বাইশ গজে আসেন এই ডান-হাতি। তারপর থেকে একপ্রান্ত আগলে রেখে কেবল সতীর্থদের আসা যাওয়ার মিছিল দেখেছেন তিনি, তবে রানের চাকা সচল রাখার কাজটাও করেছেন একা হাতে।

৬৩ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করেছিলেন এই প্রোটিয়া, ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে গিয়ে একটা পর্যায়ে তাঁর নামের পাশে ছিল ৭১ বলে ৫৩ রান! তবে আস্কিং রান রেটের সাথে পাল্লা দিয়ে ঠিকই ঝড় তুলেছেন তিনি, পরের ২১ বলে করেছেন ৩৮ রান – দলের জয়ের দিকে তাকাতে গিয়ে মাইলফলকের কথাই ভুলে গিয়েছিলেন স্মিথ, নাহলে নব্বইয়ের ঘরে ওমন আগ্রাসী শটে আউট হতেন না হয়তো।

প্রথম সেঞ্চুরি উৎসর্গ করা সত্ত্বেও অবশ্য তিনি পারেননি দলের জয় নিশ্চিত করতে। আসলে আয়ারল্যান্ডের নিখুঁত টিম পারফরম্যান্সের বিপরীতে তাঁর একক প্রচেষ্টা যথেষ্ট ছিল না। যথেষ্ট ছিল না অসম সাহস নিয়ে তাঁর অনবদ্য ব্যাটিং-ও।

আগে ব্যাট করতে নেমে আইরিশরা অভিজ্ঞ পল স্টার্লিংয়ের ৮৮ রানের ইনিংসে ভর করে উড়ন্ত সূচনা পেয়েছিল। পরের দিকে কেউ আহামরি কিছু করতে না পারলেও হ্যারি হেক্টরের হাফ-সেঞ্চুরি আর ক্যাম্ফার, টকারের ছোট ছোট ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি জমা হয় স্কোরবোর্ডে।

ব্যাটিংয়ের মত বল হাতেও ঐক্যবদ্ধ ছিল আয়ারল্যান্ড। মার্ক অ্যাডায়ার নতুন বলে দুই উইকেট আদায় করে নিয়েছিলেন, ক্রেইগ ইয়ং গুঁড়িয়ে দিয়েছেন প্রতিপক্ষের মিডল অর্ডার। আবা গ্রাহাম হিউম মহাগুরুত্বপূর্ণ তিনটি উইকেট না পেলে সম্ভবই হতো না এমন জয়। এই নিয়ে ওয়ানডেতে ইতিহাসে দ্বিতীয় বার দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারালো আয়ারল্যান্ড।

Share via
Copy link