দুর্বোধ্য জাসপ্রিত বুমরাহ যেন অপ্রতিরোধ্য। ব্যাটারদের কাছে একটা বিস্ময় তিনি। মাঠে নামলেই উইকেটে সৃষ্টি করেন ত্রাস। তাকে পড়তে পারা যেন বিশাল বড় এক টাস্ক। সেই বুমরাহ সাদা পোশাকে খুব বেশি ম্যাচ খেলেননি। তবে লাল বল হাতেও যথেষ্ট ভয়ংকর জাসপ্রিত।
বাংলাদেশের বিপক্ষে কানপুর টেস্টে একাই নিয়েছেন ছয়টি উইকেট। এর আগে চেন্নাইয়ে টাইগারদের ৫ উইকেট বাগিয়েছেন তিনি। প্রতিটা মুহূর্তেই তিনি বাংলাদেশের প্রতিটা ব্যাটারকে ফেলেছেন দুশ্চিন্তার গভীর কুয়োতে। আর তার এমন বিধ্বংসী বোলিংয়ের কল্যাণে উঠে এসেছেন র্যাংকিংয়ের এক নম্বর স্থানে।
টেস্ট বোলারদের আইসিসি র্যাংকিংয়ের এক নম্বরে এখন জাসপ্রিত বুমরাহর অবস্থান। তারই সতীর্থ রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে পেছনে ফেলেছেন তিনি। মাত্র একটি রেটিং পয়েন্ট গড়ে দিয়েছে পার্থক্য। জাসপ্রিতের রেটিং পয়েন্ট ৮৭০, আর অশ্বিনের ৮৬৯।
তবে এই ব্যবধানটা বিশাল হতে পারত, যদি জাসপ্রিত নিয়মিত সাদা পোশাক গায়ে মাঠে নামতেন। সেই ২০১৮ সালে টেস্ট অভিষেক হয় বুমরাহর। এরপর দীর্ঘ ছয় বছরে মোটে ৩৮টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন তিনি। লঙ্গার ভার্শনে তার সার্ভিস নিয়মিত পায়নি ভারত।
মূল কারণ সেই ইনজুরি। পেসারদের সবচেয়ে আপন শত্রু। ইনজুরির থাবায় পেসারদের মাঠের বাইরে থাকা যেন, অবধারিত এক সত্য। সেই ইনজুরির ভয়াল থাবা বেশ ক’বার পেছন দিক থেকে টেনে ধরেছেন জাসপ্রিতকে। তবে তিনি প্রতিবারই প্রতাপের সাথে ফিরে এসেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আঙিনায়।
সময়ের অন্যতম সেরা বোলার জাসপ্রিত। তাই তো ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে ক্রিকেট বোর্ড, তাকে খুব বেশি চাপে ফেলতে চায় না। সে কারণেই জাসপ্রিতের ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়। আর তাতেই মাঠে নামা মাত্রই ঝলক দেখান জাসপ্রিত। আর বনে যান মুহূর্তের বিশ্বসেরা বোলার।