অনেক বড় স্বপ্ন নিয়েই দ্বিতীয় বারের মত বাংলাদেশে কোচিং করাতে এসেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান কোচ জেমি সিডন্স। তবে বাংলাদেশে জাতীয় দলের সাথে সিডন্সের দ্বিতীয় ইনিংসটা খুব বেশি মনে রাখার মত হলো না।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সিডন্স জানিয়েছেন জাতীয় দলের সাথে আর কাজ করবেন না তিনি। তবে বিসিবির হাই পারফরম্যান্স ও ‘এ’ দলের সাথে কাজ করবেন সিডন্স।
২০০৭ সালের অক্টোবরে প্রথমবারে বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাথে কাজ শুরু করেন সিডন্স। বলা হয়, বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা তিন তারকা সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম সিডন্সের হাতেই গড়া।
বিভিন্ন সময়ে এই তিন ক্রিকেটারও স্বীকার করেছেন তাদের ব্যাটিং টেকনিক উন্নতিতে সিডন্সের অবদানের কথা। তবে বোর্ডের সাথে বনিবনা না হওয়ায় ২০১১ সালের বিশ্বকাপের পর বাংলাদেশের হেড কোচের দায়িত্ব ছাড়েন সিডন্স।
২০২২ সালে ১১ বছর পর আবারো বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ হিসেবে ফিরিয়ে আনা হয় সিডন্সকে। দ্বিতীয় দফায় বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচ হিসেবে দায়িত্ব নেবার সময়ই বিসিবির হাই পারফরম্যান্স ও বয়স ভিত্তিক দলের সাথেও কাজ করার কথা ছিল সিডন্সের।
তবে, নানান কারণে তা আর হয়ে ওঠেনি। এবার জাতীয় দলের দায়িত্ব ছাড়ার পর সিডন্সের মনোযোগ তাই শুধুই বিসিবির ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের ব্যাটসম্যানদের সাথে কাজ করা।
জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে নিক পোথাসের নিয়োগের পরেই গুঞ্জন ছিল জাতীয় দলের সাথে আর কাজ করবেন না সিডন্স। যদিও নিজের ফেসবুক পেজে এমন কিছু জানাননি সিডন্স।
নিজের ফেসবুক পেজ ‘জেমি সিডন্স কোচিং’ – এ সিডন্স বলেন, ‘সংক্ষিপ্ত ছুটির পর ঢাকায় ফিরেছি। এখন থেকে আমি আর বাংলাদেশ জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করব না। বিসিবির সাথে কথা বলেই তরুণ প্রজন্মের সাথে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমি। বাংলাদেশ ‘এ’ এবং টাইগার্স দলের হয়ে কাজ করব। আমি মনে করি, তাদেরকে দেয়ার মতো আমার অনেক কিছুই আছে।’
সিডন্স আরো বলেন, ‘আমি তরুণ ক্রিকেটারদের কোচিং করাতেই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। বিসিবি এখন তা বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। জাতীয় দলের সঙ্গে কাজ করার যে মর্যাদা সেটা আমি বুঝি, তবে বেশিরভাগ স্কিল ডেভলপমেন্ট, উন্নতি এবং ট্রেইনিংয়ের সূচনা হয় মিরপুরের নেটে।’