যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ম্যাচের ১৪তম ওভারে বেধড়ক পিটুনি হজম করেছিলেন কানাডার পেসার জেরেমি গর্ডন, ম্যাচের মোমেন্টাম হাতছাড়া করেছিলেন এক ওভারে ৩৩ রান খরচ করে। কিন্তু ভেঙে পড়েননি তিনি, বরং আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে রূপকথার জন্ম দিয়ে বনে গিয়েছেন জয়ের নায়ক।
রোমাঞ্চ ছড়ানো ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে ১২ রানে হারিয়েছে কানাডা, লো স্কোরিং ম্যাচে নিকোলাস কারটনের দারুণ ব্যাটিংয়ের পর বোলারদের সম্মিলিত অবদানে মনে রাখার মত একটা জয় পেল দলটি।
তবে গর্ডনের কথা আলাদা করে বলতেই হয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজে জন্ম নেয়া এই পেসার সবচেয়ে কঠিন কাজটাই করেছেন এদিন। স্রেফ ১৩৮ রানের লক্ষ্য ডিফেন্ড করতে চাইলে শুরুতে উইকেট লাগবেই, উইকেট তোলার মহাগুরুত্বপূর্ণ কাজটাই করেছেন তিনি। আইরিশ অধিনায়ক পল স্টার্লিংকে ফিরিয়েছেন ষষ্ঠ ওভারে।
আবার শেষ ওভারে জয়ের জন্য ১৭ রান প্রয়োজন ছিল আয়ারল্যান্ডের, কঠিন হলেও অসম্ভব ছিল না। তবে নাটকীয় কিছু ঘটতে দেননি গর্ডন, দুই সেট ব্যাটার মার্ক অ্যাডেয়ার এবং জর্জ ডকরেল মাত্র চার রান নিতে পেরেছিলেন তাঁর শেষ ছয় বল থেকে।
পুরো ইনিংস জুড়েই অবশ্য দারুণ বোলিং করেছেন এই ডানহাতি। সীমানা দড়িতে মাত্র দুইজন ফিল্ডার রেখে টানা তিন ওভার বল করেছেন, তবু তেরো রানের বেশি খরচ করেননি। আরেক পেসার ডিলন হেইলিগারের কথা বলতে হয় আলাদা করে। চার ওভার বল করে মাত্র ১৮ রান দিয়েছেন তিনি, বিনিময়ে শিকার করেছেন কার্টিস ক্যাম্পার এবং গ্যারেথ ডিলানির উইকেট। আইরিশদের মিডল অর্ডার তাঁকে কোন জবাবই দিতে পারেনি।
ক্রিকেট সমর্থকদের কাছে কানাডা আবেগের নাম। দুই দশক আগেও উদীয়মান একটা দল ছিল তাঁরা, কিন্তু সময়ের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছিল বহুদূরে। আইসিসি বিশ দলের বিশ্বকাপ আয়োজন করে প্রত্যাবর্তনের একটা সুযোগ দিয়েছে তাঁদের, আর সেটা দারুণভাবেই কাজে লাগালো দলটি। এখন ধারাবাহিকতা ধরে রেখে পায়ের নিচের মাটি শক্ত করার পালা।