মাইকেল হোল্ডিং, কোর্টনি ওয়ালশের দেশ জ্যামাইকার ফাস্ট বোলার জেরোম টেইলর। একসময় অনেকে তার মাঝে দেখতেন হোল্ডিংয়ের ছায়া!
তা সম্ভাবনা আসলেই দারুণ ছিল টেইলরের। বেশ ছন্দময় বোলিং অ্যাকশন, গতি ভালো, সহজাত লাইন-লেংথও বেশ। বল স্কিড করত দারুণ, ব্যাটসম্যান অনেক সময়ই খেলার সময় পেত কম। তবে সম্ভাবনার পূর্ণতা দিতে পারেননি ক্যারিয়ারে। হোল্ডিং-ওয়ালশের কাছাকাছি যাওয়া বহুদূর, দলে আসা-যাওয়াই করতে হয়েছে বেশি। ৪৬ টেস্ট, ৯০ ওয়ানডে ও ৩০ টি-টোয়েন্টি অবশ্য খুব কম নয়। দারুণ কিছু পারফরম্যান্সও আছে। তবে তার সম্ভাবনা অনুযায়ী ক্যারিয়ার হওয়ার কথা ছিল আরও সমৃদ্ধ।
ব্যাপার হলো, বোলার টেইলরকে নিয়ে আলোচনায় কেন তার ব্যাটিংয়ের অর্জনের ছবি? কারণ, তাঁর ব্যাটিংয়ের কীর্তিগুলো বিস্ময়কর। বোলার টেইলের দুটি রেকর্ড আছে ব্যাটিংয়ে!
একটি রেকর্ডের সঙ্গে জড়িয়ে এই ছবি। ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ডানেডিনে নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে আট নম্বরে নেমে দারুণ এক সেঞ্চুরি করেছিলেন টেইলর। ১৬ চার ও ৩ ছক্কায় সেঞ্চুরি ছুঁয়েছিলেন ৯৭ বলে!
ওই সেঞ্চুরির সূত্রেই রেকর্ড বইয়ের একটি পাতায় নাম উঠে গেছে টেইলরের। টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে কম ব্যাটিং গড়ের সেঞ্চুরিয়ান তিনি। টেইলরের ক্যারিয়ার ব্যাটিং গড় ১২.৯৬।
টেইলরের রেকর্ড অবশ্য হুমকির সামনে আছে ইয়াসির শাহর সামনে। পাকিস্তানের এই লেগ স্পিনারও একজন টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান, যার ব্যাটিং গড় ১৩.৫৯। আরও কিছু টেস্ট তিনি খেলবেন। গড় কমতেও পারে!
আরেক পাকিস্তানী স্পিনার ও টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান সাকলায়েন মুশতাকের ব্যাটিং গড় ১৪.৪৮। তবে এই গড় আসলে সাকলায়েনের ব্যাটিং সামর্থ্যের পাশে বেমানান। সাকলায়েনের টেকনিক বেশ ভালো ছিল, টেম্পারামেন্টও। আউট করা সহজ ছিল না। নাইটওয়াচম্যান নেমে বেশ কিছু কার্যকর ইনিংস আছে।
যাহোক, টেইলরের আরেকটি ব্যাটিং রেকর্ড টি-টোয়েন্টিতে। ২০১৬ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ডোয়াইন ব্রাভোর সঙ্গে নবম উইকেটে ৬৬ রানের জুটি গড়েছিলেন। নবম জুটিতে যা বিশ্ব রেকর্ড!
– ফেসবুক থেকে