উইকেটের পেছনে – জয়ের মন যেখানে, হৃদয় সেখানে

ফেরার আগে জয় ছয়টি চারে ৩৩ রান করেন। টেস্ট কিংবা ফাস্ট ক্লাস ক্রিকেটে এটা তাঁর ব্যাটিং গড়ের চেয়েও বেশি রান করে ফিরেছেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে করেছেন ৪৭ রান।

উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়াটাই তাঁর নিয়তি। এভাবে আউট হওয়াকে রীতিমত শিল্পে পরিণত করেছেন মাহমুদুল হাসান জয়। এবার সিলেট টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসেও একই ঘটনা ঘটালেন। এই ব্যাটার গত ১০ ইনিংসে নয়বার আউট হয়েছেন উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে। প্রতিবারই শরীরের বাইরে বল তাড়া করে, প্রতিবারই এজ, প্রতিবারই ব্যর্থতা।

যদিও, এবার তুলনামূলক ভাল ডেলিভারিতে আউট হয়েছেন। আগের মত ষষ্ঠ স্ট্যাম্পের বল অবশ্য তাড়া করতে যাননি। ব্লেসিং মুজারাবানি উইকেটের পেছনে স্লিপ ফিল্ডারদের ছাতা বানিয়ে বোলিং করছিলেন, তখনিই ফাঁদে পা দিলেন জয়।

মুজারাবানি একটা শর্ট বল দিলেন—যেটা গতি ও উচ্চতায় দুটোতেই অস্বস্তিকর। জয় চেষ্টা করেছিলেন হাত নামিয়ে নেওয়ার। কিন্তু পারলেন না। বলটা গ্লাভস কিংবা ব্যাটের হ্যান্ডল ছুঁয়ে লাফিয়ে গেল স্লিপে। সোজা চলে গেল ক্রেইগ আরভিনের হাতে। সহজ ক্যাচ।

ফেরার আগে জয় ছয়টি চারে ৩৩ রান করেন। টেস্ট কিংবা ফাস্ট ক্লাস ক্রিকেটে এটা তাঁর ব্যাটিং গড়ের চেয়েও বেশি রান করে ফিরেছেন। দুই ইনিংস মিলিয়ে করেছেন ৪৭ রান। টেস্টে তাঁর ব্যাটিং গড় এখন ২২.৭৫। প্রাগৈতিহাসিক যুগে বাংলাদেশের ওপেনরা এর চেয়ে খুব খারাপ ছিলেন না, অনেক ক্ষেত্রে এর চেয়ে ভাল ছিলেন।

আল শাহরিয়ার রোকন ১৫ টি টেস্টের ক্যারিয়ারে ২২.৭৬ গড়ে রান তুলেছেন। বরং জয়ের চেয়ে তিনি ঢের স্টাইলিশ ব্যাটার ছিলেন। তাহলে জয়দের পেছনে আর কত ইনভেস্ট করবে বিসিবি? বরং ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরমারদের সুযোগ দেওয়ার এটাই আদর্শ সময়।

Share via
Copy link