আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডেতে হুট করেই দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সিতে দেখা যায় জেপি ডুমিনিকে। উইকেটরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে বাউন্ডারির দিকে ছুটতে থাকা বল ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন তিনি – লাইভ না হলে অনেকেই হয়তো তাঁর ক্যারিয়ার হাইলাইটস ভেবে বসতেন।
তবে লাইভ ম্যাচে হঠাৎ করে সেই দৃশ্য দেখে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন জেগেছিল তিনি তো অবসর নিয়েছিলেন, তবে কি অবসর ভেঙ্গে জাতীয় দলে ফিরেছেন আবার? অবশ্য সেরকম কিছুই না, কোচ হিসেবেই মাঠে নেমেছেন সাবেক এই অলরাউন্ডার।
২০১৯ সালে জাতীয় দল থেকে অবসর নেয়ার পর বর্তমানে প্রোটিয়া দলের কোচিং প্যানেলে আছেন তিনি, কাজ করছেন ব্যাটিং নিয়ে। সেই সুবাদে মিলেছে আবারো চিরচেনা জার্সি গায়ে জড়িয়ে মাঠে নামার সুযোগ। মূলত আরব আমিরাতের তীব্র গরমের কারণে দলটির একের পর এক ফিল্ডার ক্লান্ত হয়ে ডাগ আউটে চলে যান। বাধ্য হয়ে তাঁকেই বদলি হিসেবে ফিল্ডিং করতে হয়।
যতক্ষণ ছিলেন ততক্ষণ অবশ্য দারুণ ফিল্ডিং করেছেন, আইরিশ ব্যাটারদের নিশ্চিত কিছু রান আটকে দিয়েছেন। তিনি যে নিয়মিত ক্রিকেটার নেই এখন আর, সেটা মনেই হয়নি। অনেকটাই এমন বোধহয় যে অস্ত্র জমা দিয়েছেন কিন্তু যুদ্ধ করা ভুলে যাননি।
তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোচ হয়ে মাঠে ফিল্ডিং করার ঘটনা একেবারে বিরল। প্রস্তুতি ম্যাচে এমনটা দেখা গিয়েছে অবশ্য, চলতি বছর নামিবিয়ার বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া তিনজন কোচিং স্টাফকে ফিল্ডার হিসেবে ব্যবহার করেছিল।
স্কোয়াডের বেশ কয়েকজনকে ছুটি দেয়ায় এগারো জনের কোটা পূরণ করতে শুরু থেকেই মাঠে নামানো হয়েছিল নির্বাচক জর্জ বেইলি ও ফিল্ডিং কোচ অ্যান্ড্রে বোরোভেচকে। আবার প্রধান কোচ ম্যাকডোনাল্ড নেমেছিলেন জশ হ্যাজলউডের বদলি ফিল্ডার হিসেবে। বোরোভেচ একটা ক্যাচও নিয়েছিলেন। মজার ব্যাপার, এতকিছুর পরেও সাত উইকেট আর ৬০ বল হাতে রেখেই জিতে গিয়েছিল অজিরা।