দুই নো বল, রাবাদার বোলিংয়ে বিরক্তি!

লখনৌর বিপক্ষে এ ম্যাচে শুরুতে লোকেশ রাহুলের উইকেট তুলে নিয়ে দুর্দান্ত কিছুর আভাস দিয়েছিলেন প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও দলকে হতাশায় ভাসিয়ে ব্যর্থদের তালিকায় নাম লেখান। ম্যাচে ২ উইকেট পেয়েছেন। কিন্তু ৪ ওভারে রান দিয়েছেন ৫২ রান। আর রাবাদার এমন হতশ্রী বোলিংয়েরই কড়া সমালোচনা করেছেন নিউজিল্যান্ডের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকর সাইমন ডৌল।

মোহালিতে লখনৌর ব্যাটারদের ব্যাটিং তোপে দু:স্বপ্নময় এক রাতই কাটিয়েছে পাঞ্জাবের বোলাররা। এক রাহুল চাহার বাদে কেউই  বোলিং ইকোনমি ১০ এর নিচে রাখতে পারেননি। প্রায় সবাই দু’হাত ভরে রান দিয়েছেন। আর তাতেই ২৫৭ রানের রান পাহাড়ে চড়ে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। 

লখনৌর বিপক্ষে এ ম্যাচে শুরুতে লোকেশ রাহুলের উইকেট তুলে নিয়ে দুর্দান্ত কিছুর আভাস দিয়েছিলেন প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনিও দলকে হতাশায় ভাসিয়ে ব্যর্থদের তালিকায় নাম লেখান। ম্যাচে ২ উইকেট পেয়েছেন। কিন্তু ৪ ওভারে রান দিয়েছেন ৫২ রান। আর রাবাদার এমন হতশ্রী বোলিংয়েরই কড়া সমালোচনা করেছেন নিউজিল্যান্ডের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকর সাইমন ডৌল।

কিউই এ ধারাভাষ্যকরের মতে, রাবাদা এ ম্যাচে যেমন বোলিং করেছেন, তা কোনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা বোলারদের বল হতে পারে না। এটা একদম অপ্রত্যাশিত। 

রাবাদার খরুচে বোলিংকে কাঠগড়ায় গোলার পাশাপাশি সাইমন ডৌল এ বোলারের গেমসেন্স নিয়েও প্রশ্ন তোলেন ৷ তিনি বলেন, ‘ম্যাচের ১৬ ওভারে রাবাদা পরপর দুটি ডেলিভারিতে একটি নো আর একটি ওয়াইড দিয়েছিল। দলের সেরা বোলার যদি ইনিংসের শেষে এসে এমন খাপছাড়া বোলিং করেন তাহলে ম্যাচটা সেখানেই শেষ হয়ে যায়। পাঞ্জাব ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছে ওখানেই। বল হাতে রাবাদার ব্যর্থতার দিনে আর কেউ তা পুষিয়ে দিতে পারেনি।’

কাগিসো রাবাদা অবশ্য এবারের আইপিএলেই তেমন আলো ছড়াতে পারেননি। উইকেটে পেয়েছেন ৫ টা। কিন্তু রান দিয়েছেন দেদারসে। এখন পর্যন্ত তার বোলিং ইকোনমি ১০ এর উপরে, ১০.৬৭। 

গত ম্যাচে লখনৌর বিপক্ষে এক প্রকার ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেন প্রোটিয়া এ পেসার। লোকেশ রাহুলকে প্রথমে ফিরিয়ে দারুণ কিছুর আভাস দিলেও পরবর্তীতে পুরান, স্টয়নিসদের ব্যাটিং তোপে রীতিমত অসহায় বনে যান কাগিসো রাবাদা। শেষ পর্যন্ত নিজের বোলিং ফিগার শেষ করেন ৪ ওভারে ৫২ রান খরচ করে। 

লখনৌর দেওয়া ২৫৮ রানের লক্ষ্যে অবশ্য এ দিন পাঞ্জাব কিংসের ব্যাটাররাও পরবর্তীতে চড়াও হয়েছিল। শুরুতে ব্যাটিং বিপর্যয় হলেও চোখ রেখেছিল জয়ের পথেই। অথর্ব টাইডের বিধ্বংসী ব্যাটিং, লিভিংস্টোন, স্যাম কারেনের ছোট ক্যামিওতে পাঞ্জাব কিংসও দুইশো পেড়িয়েছিল। কিন্তু কেউ শেষ পর্যন্ত নিজের ইনিংসকে বড় করতে পারেননি। তাই শেষ পর্যন্ত লখনৌর ২৫৭ রানের রান পাহাড় আর টপকাতে পারেনি পাঞ্জাব কিংস।  

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...