তাঁকে ঘিরে বিতর্ক যেন ছিল অতি নিয়মিত ঘটনা। সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান ক্রিকেটের অন্যতম বিতর্কিত চরিত্র কামরান আকমল। গত পাঁচ বছর ধরে জাতীয় দলে খেলেননি। বারবার জাতীয় দলে ফেরার জন্য সব রকম চেষ্টা করলেও নির্বাচকদের সুনজরে আসেননি এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার।
তাকে সুযোগ না দেয়ায় নির্বাচকদের একহাত নিতে ছাড়েননি তিনি। তবে এবার নিজেই নির্বাচক কমিটিতে জায়গা পাবার পর সব ধরণের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন কামরান। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) ঘোষণা আসা মাত্রই নিজে ঘোষণা দিতে আর দেরি করলেন না।
কয়েক দিন আগেই পিসিবির নির্বাচক কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন কামরান। এরপর পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) ফ্রাঞ্চাইজি পেশোয়ার জালমির ভারপ্রাপ্ত ব্যাটিং কোচের দায়িত্বও পেয়েছেন। আর এ দায়িত্ব পাবার পরেই সবধরণের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন ৪১ বছর বয়সী এই ব্যাটার। এ প্রসঙ্গে আকমল বলেন, ‘নির্বাচক ও কোচ হিসেবে নতুন দায়িত্বের কারণে আমি আর ক্রিকেট খেলতে পারব না।’
এর আগে ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাচক হিসেবে দায়িত্ব পাওয়া শহীদ আফ্রিদিকে সরিয়ে নতুন প্রধান নির্বাচক হিসেবে হারুন রশিদকে দায়িত্ব দেয় নাজাম শেঠির নেতৃত্বাধীন ক্রিকেট বোর্ড। হারুনের অধীনে নির্বাচক কমিটিতে জায়গা হয় মোহাম্মদ সামি, কামরান আকমল ও ইয়াসির হামিদের।
শুধুমাত্র জাতীয় দল নয়, যুব দলের প্রধান নির্বাচক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন আকমল। পাকিস্তানের আঞ্চলিক ও জেলা দলগুলোর দেখাশোনাও করবেন তিনি। পিএসএলের এবারের মৌসুমে তাকে দেখা যাবে তাঁরই আত্মীয় বাবর আজমের দল পেশোয়ার জালমির ব্যাটিং কোচ হিসেবে। কোচ হিসেবে বাবর আজমকে সাহায্য করতে চান আকমল। যদিও বাবরের ব্যাটিংয়ে কোনো দূর্বলতা খুঁজে পাননি তিনি।
এছাড়াও নিজের ছোট ভাই উমর আকমলকে জাতীয় দলে ফিরতে হলে ফিটনেস এবং পারফরম্যান্সের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই ফিরতে হবে বলে জানান পাকিস্তানের সাবেক এই উইকেট রক্ষক। পাকিস্তানের জার্সিতে ৫৩ টেস্ট,১৫৭ ওয়ানডে আর ৫৮টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন কামরান। সবমিলিয়ে করেছেন ছয় হাজারের বেশি রান।
সর্বশেষ ২০১৭ সালে জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন তিনি। ২০০২ সালে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করা কামরান গত পাঁচ বছর ধরে চালিয়ে গিয়েছেন ঘড়োয়া ক্রিকেট। পিএসএলের ইতিহাসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকও কামরান আকমল। ফলে, খেলোয়াড়ি জীবনটা তাঁর বেশ বর্ণাঢ্যই বলা যায়। এখন নির্বাচক হিসেবে তিনি কেমন করেন – সেটা জানতে সময়ের অপেক্ষা করতেই হচ্ছে।