ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) আগামী আসরকে ঘিরে পরিকল্পনা করতে শুরু করেছে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (বিসিসিআই)। এরই ধারাবাহিকতায় গত বুধবার সব ফ্রাঞ্চাইজির প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। আর সেখানে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের মালিক কাব্য মারান রিটেনশন পলিসি এবং নিলাম নীতির সংস্করণের প্রস্তাব দিয়েছেন।
কমপক্ষে ছয়জন খেলোয়াড়কে ধরে রাখার সুযোগ চান তিনি, সেই সাথে বিদেশিদের রিটেইন করার ক্ষেত্রে সীমা নির্ধারণ না করার আহ্বান জানান। এক্ষেত্রে রিটেইন ও রাইট টু ম্যাচ(আরটিএম) দুইটি অপশনের কথা তুলে ধরেন কাব্য। তিনি বলেন, ‘আমরা চারটি রিটেনশন, দুইটি আরটিএম অথবা ছয়টি রিটেনশন বা ছয়টি আরটিএম ব্যবহার করতে পারি।’
তাঁর মতে কে নিলামে উঠবে, কাকে রিটেইন করা হবে সেই সিদ্ধান্তে খেলোয়াড়দের যথেষ্ট স্বাধীনতা দিতে হবে। নিজের প্রস্তাবের স্বপক্ষে হায়দ্রাবাদের মালিক বলেন, ‘অনেক ঘটনা এমন আছে, কোন ক্রিকেটারকে রিটেইন করা হলো কিন্তু তাঁর পারিশ্রমিক মন:পূত হয়নি। এজন্য তাঁদের নিজেদের বেছে নেয়ার সুযোগ করে দিতে হবে।’
এছাড়া কতজন বিদেশি ক্রিকেটারকে রিটেইন করা যাবে সে ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘প্রত্যেক দল স্বতন্ত্রভাবে স্কোয়াড তৈরি করে, কেউ হয়তো বিদেশি তারকা নির্ভর হয়, কেউ ভারত জাতীয় দলের ওপর বেশি নির্ভর, আবার কেউ মাঝামাঝি। তাই কতজন দেশি বা বিদেশি খেলোয়াড় রিটেইন করা হবে সেটা ফ্রাঞ্চাইজির হাতে ছেড়ে দেয়া হোক।’
আবার অনেকেই নিলামে নাম দেয়ার পর বিনা কারণে নিজেকে সরিয়ে নেন। তাঁদের বিরুদ্ধেও কঠিন ব্যবস্থা নেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন মারান। তিনি বলেন, ‘নিলামে দল পাওয়ার পর কোন ক্রিকেটার যদি ইনজুরি ছাড়া অন্য কোন কারণে নাম সরিয়ে নেয় তাহলে তাঁকে নিষিদ্ধ করা হোক।’
সবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলা তারকাদের নিয়ে কথা বলেন তিনি। তাঁর মতে, এই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়রা নিজেদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারেন। তাই আনক্যাপড ক্রিকেটারদের সঙ্গে তাঁদের একই কাতারে রাখা উচিত নয়।