শতভাগ জয়ের রেকর্ড অক্ষত থাকুক

এই অভিজ্ঞতাটা বাংলাদেশ দলের খুব বেশি হয় না বললেই চলে। তবে, পালেকেল্লেতে মাঠে নামার আগে পরিসংখ্যান বাংলাদেশের পক্ষে। এই মাঠে শতভাগ জয়ের রেকর্ড আছে বাংলাদেশ দলের।

এই অভিজ্ঞতাটা বাংলাদেশ দলের খুব বেশি হয় না বললেই চলে। তবে, পালেকেল্লেতে মাঠে নামার আগে পরিসংখ্যান বাংলাদেশের পক্ষে। এই মাঠে শতভাগ জয়ের রেকর্ড আছে বাংলাদেশ দলের।

পাল্লেকেলেতে এর আগে একবারই ওয়ানডে খেলেছিল বাংলাদেশ। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কাকে ওই ম্যাচে ৩ উইকেটে হারায় সফরকারীরা। বৃষ্টি আইনে জিতেছিল বাংলাদেশ দল।

২০১১ সালের ৮ মার্চ অভিষেকের পর পাল্লেকেলের এই মাঠে এখন পর্যন্ত ৬৬ টি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০১১ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের ২৪ তম ম্যাচে এই ভেন্যুতে মুখোমুখি হয়েছিলো নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান। রস টেইলরের অপরাজিত ১৩১ রানের সুবাদে ১১০ রানের বড় জয় পায় নিউজিল্যান্ড।

স্বাভাবিকভাবে নিজেদের ভেন্যু পাল্লেকেলে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কা। ৩১ ম্যাচের মধ্যে সমান ১৫টি করে জয়-পরাজয় আছে তাদের। বাকি ১টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়। এছাড়া কোন দলই পাঁচটির বেশি ম্যাচ খেলতে পারেনি।

পাল্লেকেলেতে সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ড রয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০১৮ সালের ৫ আগস্ট শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৭ উইকেটে ৩৬৩ রান করেছিলো প্রোটিয়ারা। দলের পক্ষে রেজা হেনড্রিক্স ৮৯ বলে ১০২ ও জিন পল ডুমিনি ৯২ রান করেছিলেন।

জবাবে ২৮৫ রানে গুটিয়ে যায় স্বাগতিক লঙ্কা। ৭৮ রানের জয় পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ঐ ম্যাচে দু’দল মিলে সর্বমোট ৬৪৮ রান করেছে। এটিই এই ভেন্যুতে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ রান।

এই ভেন্যুতে সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ড জিম্বাবুয়ের। ২০২২ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৫৫ রানের টার্গেটে ৭০ রানে গুটিয়ে যায় জিম্বাবুয়ে। ১৮৪ রানের বিশাল জয় পায় লঙ্কানরা। এই ভেন্যুতে এটি সর্বোচ্চ রানে জয়ের নজির। উইকেটে বিবেচনায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এই ভেন্যুতে সর্বোচ্চ ৮ উইকেটে জিতেছিলো শ্রীলঙ্কা।

এখানে রানের হিসেবে সবচেয়ে ছোট জয় আছে শ্রীলঙ্কার। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মাত্র ৩ রানে জিতেছিলো লংকানরা। প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ৩০৬ রান করে শ্রীলঙ্কা।

জবাবে বৃষ্টি আইনে ২১ ওভারে ১৯১ রানের টার্গেটে ৯ উইকেটে ১৮৭ রান করে প্রোটিয়ারা। উইকেটের হিসেবেও সবচেয়ে ছোট জয় লঙ্কানদের। ২০১৫ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ২ উইকেটে জিতেছিলো শ্রীলঙ্কা।

পাল্লেকেলেতে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন শ্রীলঙ্কার তিলকরত্নে দিলশান। ১৫ ইনিংসে ৫টি সেঞ্চুরি ও ২টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৯৩৯ রান করেন দিলশান।

ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলেছেন আফগানিস্তানের ইব্রাহিম জাদরান। ২০২২ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১৫টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১৩৮ বলে ১৬২ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন ইব্রাহিম। বল হাতে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। ১৬ ম্যাচে ২৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি।

সেরা বোলিং ফিগারের মালিক অস্ট্রেলিয়ার পেসার মিশেল জনসন। ২০১১ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে ১০ ওভারে ৩১ রানে ৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া জিতেছিলো ৭ উইকেটে। উইকেটের পেছনে সর্বোচ্চ ২৪ ডিসমিসাল আছে শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারার। সবচেয়ে বেশি ৭টি করে ক্যাচ নিয়েছেন ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ও থিসারা পেরেরা।

সর্বোচ্চ রানের জুটির মালিক শ্রীলঙ্কার উপুল থারাঙ্গা ও তিলকারত্নে দিলশান। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে উদ্বোধনী জুটিতে ২৮২ রান তুলেছিলেন থারাঙ্গা ও দিলশান। শেষ পর্যন্ত ১৩৯ রানে ম্যাচ জিতেছিলো শ্রীলঙ্কা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...