পুরোনো সুর আবার নতুন ভাবে ফিরে আসার গুঞ্জন এখন বাংলাদেশ ক্রিকেটে। রাসেল ডমিঙ্গোর পদত্যাগের পর এখন শূন্য রয়েছে বাংলাদেশ দলের হেড কোচের পদ। শূন্যপদে আবারো নতুন করে হেড কোচ হয়ে ফিরে আসা জোর সম্ভাবনা রয়েছে চান্দিকা হাতুরুসিংহের।
অনেক আলোচনা সমালোচনার জন্ম দেয়া এই শ্রীলঙ্কান কোচের দেশের ক্রিকেট থেকে বিদায়টা মোটেই সুখকর ছিল না। তবুও আবার হাতুরুসিংহেকেই খুব করে পেতে চাইছেন বিসিবি কর্তারা। সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাহমুদ সুজনও মনে করেন হেড কোচ হিসেবে উপযুক্ত পছন্দ হাথুরুসিংহেই।
২০১৪ সালের জুন থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত বাংলাদেশ দলে হেড কোচের দায়িত্ব পালন করেন হাতুরু। তাঁর সময়ে নিজদের ক্রিকেট ইতিহাসেরই অন্যতম সেরা সময় কাটিয়েছে টাইগাররা। ২০১৫ বিশ্বকাপে প্রথম বারের মত কোয়ার্টার ফাইনাল আর ২০১৭ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেমিফাইনাল খেলে বাংলাদেশ।
তবে হাথুরুকে ঘিরে বিতর্কও কম ছিল না। সিনিয়র ক্রিকেটারদের সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে খবরের শিরোনাম হয়েছিলেন তিনি। বিদায়টাও সুখকর হয়নি। চুক্তির মেয়াদ পূরণ হবার আগেই দায়িত্ব থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। দক্ষিন আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ চলাকালীনই তৎকালীন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমের সাথে তাঁর কোন্দল ছিল প্রকাশ্য। এরপরেই সেই সিরিজের রিপোর্ট বোর্ডকে জমা না দিয়েই পদত্যাগ করেন তিনি।
এরপর নিজ দেশ শ্রীলংকার দায়িত্ব নিলেও চুক্তির অর্ধেক মেয়াদও শেষ করতে পারেননি তিনি। বিভিন্ন বিতর্কের জের ধরে তাকে বরখাস্ত করে লংকান ক্রিকেট বোর্ড।
তবে সেই হাথুরুসিংহেকেই কোচ হিসেবে পেতে এবার উঠে পড়ে লেগেছে বিসিবি। হাথুরুর সাথে জাতীয় দলে কাজ করা খালেদ মাহমুদ সুজনও চাইছেন কোচ হয়ে আসুন হাতুরুসিংহে, ‘হাথুরুর ব্যাপারটা আমি এখনও নিশ্চিত বলতে পারব না আসবে কী আসবে না। তবে যদি আসে, অবশ্যই ভাল।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাথুরু এখানে কাজ করে গেছে, ওর কোচিংয়ে বাংলাদেশের অনেক পারফরম্যান্সও ছিল। আমার বিশ্বাস, হাতুরু এখন হয়তো আরও বেশি পরিণত, অবশ্যই আমাদের সেটা কাজে লাগবে। আবার যদি আসে তো ভাল। ও এসে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনেক কিছু বদলে দিয়েছিল এবং পারফরম্যান্স তখন আমাদের ভাল হচ্ছিল। দ্বিতীয়বার আসাটা খারাপ হবে না, আমি খারাপভাবে দেখি না। যেহেতু আমাদের উপমহাদেশের মানুষ, আমাদের সম্পর্কে ভাল জানেন, বোঝেন। ওর অভিজ্ঞতা এখন অনেক, সত্যি বলতে গেলে।’
হাথুরুসিংহের কোচ হয়ে আসা এখন অনেকটাই নিশ্চিত বলেই জানাচ্ছে বিভিন্ন সূত্র। যদিও শ্রীলঙ্কার দায়িত্ব থেকে পদচ্যুত হবার পর শীর্ষ পর্যায়ে আর কোচিং করাচ্ছেন না তিনি। বোর্ড কর্তাদের সাথে আগের মেয়াদে সম্পর্ক খুব একটা মধুর ছিল না হাতুরুসিংহের।
দলে একক কতৃত্ব প্রতিষ্ঠার পক্ষপাতী হাথুরাসিংহে কোচ হয়ে এলে বর্তমান দলের টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজনের ভূমিকা কি হবে এসব এখনও পরিষ্কার না। অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টি ফরমেটের জন্য বিসিবির পছন্দ শ্রীধরন শ্রীরামকে কিভাবে কাজে লাগাবে বিসিবি সেটিও দেখার বিষয়।