খুলনার টানা দ্বিতীয় জয়

নিজেদের বেগতিক অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর একটা মন্ত্র যেন খুঁজে পেয়েছে খুলনা টাইগার্স। চট্টগ্রামের মাটিতে এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের প্রথম জয়ের দেখাটা পেয়েছে টাইগার্সরা। ধ্যান-ধারণা জয়ের সে ধারা অব্যাহত রাখা। অন্যদিকে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সামনে সুযোগ শীর্ষ চারে ঢুকে যাওয়ার। এই সমীকরণে দিনের প্রথম খেলায় মুখোমুখি দুই দল।

নিজেদের বেগতিক অবস্থা থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর একটা মন্ত্র যেন খুঁজে পেয়েছে খুলনা টাইগার্স। চট্টগ্রামের মাটিতে এবারের বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে নিজেদের প্রথম জয়ের দেখাটা পেয়েছে টাইগার্সরা। ধ্যান-ধারণা জয়ের সে ধারা অব্যাহত রাখা। অন্যদিকে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সামনে সুযোগ শীর্ষ চারে ঢুকে যাওয়ার। এই সমীকরণে দিনের প্রথম খেলায় মুখোমুখি দুই দল।

টস জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাট করার আমন্ত্রণ দেন টাইগার্সদের অধিনায়ক ইয়াসির আলী রাব্বি। শুরুতেই বল হাতে স্বাগতিকদের চেপে ধরে খুলনার বোলাররা। দ্বিতীয় ওভারেই উইকেটের পতন। সাজঘরে ম্যাক্স ও’ডোড। প্রাথমিক ধাক্কাটা সামলে নেন উসমান খান ও আফিফ হোসেন। এই দুইজনে মিলে ধিরে ধিরে চট্টগ্রামের ইনিংসের ভীত গড়ার কাজটা করতে শুরু করেন।

সাইফুদ্দিনের এক ওভারে চারটি চার মারেন উসমান। ঠিক সেখান থেকেই চট্টগ্রামের ব্যাটাররা আত্মবিশ্বাস ফিরে পেয়ে দারুণ ছন্দে ব্যাট করতে থাকে। ৪৫ রান করা উসমান আউট হওয়ায় ভাঙ্গে ৭০ রানের দুর্দান্ত জুটি। যে জুটিতে ভর করেই বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে চ্যালেঞ্জার্স শিবির। এরপর ডারউইস রাসুলিকে সঙ্গে নিয়ে সেই স্বপ্নের পথেই চট্টগ্রামকে রাখেন আফিফ।

ইনিংসের ১৬ তম ওভারে ওয়াহাব রিয়াজের জোড়া আঘাতে বড় সংগ্রহের পথটা সংকীর্ণ হয়ে যায়। এরপর আর সুবিধা করতে পারেনি চট্টগ্রামের ব্যাটাররা। ২০তম ওভারে আবারও ওয়াহাব রিয়াজের আঘাত। সেই ওভারে উইকেট পড়ে তিনটি। এসব মিলিয়ে ১৫৭ রানে থামে চট্টগ্রামের ইনিংস। লড়াই করবার মত এক পুঁজি।

লড়াইয়ের শুরুতেই খানিকটা এগিয়ে যায় চট্টগ্রাম। খুলনার হয়ে ওপেনিংয়ে নামা মুনীম শাহরিয়ার দ্রুত প্যাভিলনে ফিরে যান। এরপর খুলনার হাল ধরার দায়িত্ব এসে পড়ে তামিম ইকবালের কাঁধে। তিনি রয়েসয়ে খেলতে শুরু করেন। অন্যদিকে মাহমুদুল হাসান জয় নিজের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে থাকেন। হাতখুলে খেলে এবারের বিপিএলের নিজের প্রথম অর্ধশতকের দেখা পেয়ে যান মাহমুদুল হাসান জয়।

তবে স্বল্প বিরতিতে তামিম ও জয় প্যাভিলনের পথ ধরেন। খানিকটা বিপর্যস্ত অবস্থার মুখে তখন খুলনা। উইকেটে নতুন দুই ব্যাটার। তবে তামিম ও জয়ের গড়ে দেওয়ার মঞ্চের উপর দাঁড়িয়ে ইয়াসির আলী রাব্বি নিজের ব্যাটিং শৈলীর প্রদর্শন করে গেলেন। ১৭ বলের একটি ঝড় তোলেন তিনি। সেই ঝড়ের কবলে পড়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় চট্টগ্রাম।

ঘরের মাঠে আরও একটি হারের মুখে পড়ে চ্যালেঞ্জার্সরা। শেষ ওভারে সুবিশাল এক ছক্কায় বল আছড়ে পরে বাউন্ডারির বাইরে। নিজের মধ্যে জমাট আত্মচিৎকার বাইরে নিয়ে এসে উল্লাস করেন অধিনায়ক রাব্বি। টানা দুই জয়ে ঘুরে দাড়ানোর পথে রয়েছে খুলনা। বাদ বাকি ম্যাচ গুলোতে নিশ্চয়ই এই ধারাই অব্যাহত রাখতে চাইবে তাঁরা।

 

 

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...