কে হবেন আসন্ন বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সহ-অধিনায়ক? তা নিয়েই বেশ গুঞ্জণ চলছিল কয়েক দিন যাবত পাকিস্তান শিবিরে। তবে সব জল্পনা-কল্পনাকে উড়িয়ে দিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) জানিয়ে দিল সাফ সিদ্ধান্ত। প্রধান কোচ গ্যারি কার্স্টেনই জানাবেন কে হবেন পাকিস্তানের সহ-অধিনায়ক।
গুঞ্জণ চলছিল শাহীন আফ্রিদিকে প্রস্তাব দেয়া হয়েছে পাকিস্তান জাতীয় দলের সহঅধিনায়কের দায়িত্ব নেয়ার। তবে সূত্র মারফত জানা যায়, এমন কোনো প্রস্তাবই দেয়া হয়নি পিসিবি থেকে। সাতজন বোর্ড কর্মকর্তার মধ্যে ছয়জনই বিরোধীতা করেন পাকিস্তানের সহ-অধিনায়ক নির্বাচনের বিষয়ে।
গতবারের কমিটির ভুল নেতৃত্বের কারণেই এই ধরণের সিদ্ধান্তের আগমন ঘটে। আগের বারের কমিটির ভুল নেতৃত্বের দ্বারা নেয়া সিদ্ধান্তগুলোতে ছিল ‘যদি, কিন্তু আর এক গাদা সংশয়।’ আর বর্তমানের কমিটির ছয়জন নির্বাচকই মনে করেন বাবর আজমকে অধিনায়ক হিসেবে রাখলে, সেখানে আর কোনো সহ- অধিনায়কের প্রয়োজন নেই।
যদি সহ -অধিনায়ক নির্বাচন করাই হয়, তবে সে প্রতিযোগীতায় এগিয়ে আছেন মোহাম্মদ রিজওয়ান, শাদাব খান আর শাহীন শাহ আফ্রিদি। তবে এই পদটি খালি রাখাই ভালো বলে মনে করেন নির্বাচকরা।
মূলত পাকিস্তানের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির কিছু বিতর্কিত বিষয়গুলো এসব সিদ্ধান্তকে আরো বেশি জটিল করে তোলে। হঠাৎ পাকিস্তানের অধিনায়ক পরিবর্তন করায় দলে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হয়। দলে শুরু হয় নেতৃত্বের জন্য এক অদৃশ্য লড়াই। কিন্তু তবুও বেশির ভাগ নির্বাচক সহ-অধিনায়ক নিয়োগের বিরোধিতা করেছেন।
তাইতো পিসিবি জানায়, যদি দলে কোনো সহ-অধিনায়কের প্রয়োজনই হয়, তবে বিষয়টি প্রধান কোচ গ্যারি কার্স্টেনই দেখবেন। তাঁরা জানায়, ‘যদি বাবর কোনো ম্যাচ না খেলে কিংবা তাঁকে মাঠের বাইরে যেতে হয়; তবে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত কার্স্টেনই নিবেন।’
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু হতে মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। আর বিশ্বকাপের আগেই সকল সমস্যার সমাধান বের করতে হবে পাকিস্তানকে। বিশ্ব মঞ্চে নামতে হবে সবচেয়ে সেরার বেশে। তবেই তাঁরা পেতে পারে স্বপ্নের বিশ্বকাপের স্বাদ।