জিতলে ৩০ বছরের অপেক্ষা ঘোঁচানো থেকে এক জয়ের দূরত্বে চলে আসতো লিভারপুল। কিন্তু মার্সিসাইড ডার্বি দেখলো ম্যাড়ম্যাড়ে এক ড্র। ঠিক ম্যাড়ম্যাড়েও নয়, হারের শঙ্কাও সময়ে-অসময়ে উঁকি দিয়েছে অল রেড শিবিরে। গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকার ছিলেন বলে রক্ষা। ম্যাচ শেষে কোচ ইউর্গেন ক্লপও তাই ভূয়সী প্রশংসাই করলেন ব্রাজিলীয় গোলরক্ষকের।
গুডিসন পার্কের ম্যাচ দিয়ে লিভারপুল মাঠে ফিরেছিল প্রায় সাড়ে তিন মাস পরে। দীর্ঘ বিরতির পর যেন আড়ষ্টতাই ভর করে দুই দলের খেলোয়াড়ের মাঝে। ফলে গোলশূন্য ড্রই নিয়তি হয় মার্সিসাইড ডার্বির।
তবে আফসোসটা ‘আন্ডারডগ’ এভারটনেরই বেশি হওয়ার কথা। শেষ বাঁশির দশ মিনিট আগে ডমিনিক ক্যালভার্ট লুইনের শট ফেরান অ্যালিসন। ফিরতি শটে টম ডেভিসের শট আঘাত করে পোস্টে! এর আগে-পরে আরও গোটা দুই সুযোগ পেয়েছিলো স্বাগতিকরা। সেবারও রিচার্লিসনদের জয়ের পথে কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অ্যালিসন।
ম্যাচের পর কোচ ক্লপের কণ্ঠেও তাই অ্যালিসনের প্রশংসা। ‘এটা তার ব্যাপারে অনেক কিছু প্রমাণ করে।’ ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনে জার্মান কোচ বলেন, ‘তাকে হালকা করে দেখা উচিত হবে না আমাদের। সে অসাধারণ।’
‘একজন বিশ্বমানের গোলি এমনটাই করে থাকে। নব্বই মিনিটে খুব বেশি কিছু করার থাকে না তবুও তৎপর থাকতে হয়!’
নগর-প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিপক্ষে এ ড্র-কে ন্যায্য ফল হিসেবেই দেখলেন লিভারপুল কোচ, ‘আজ আমরা যোগ্য দল হিসেবেই একটা পয়েন্ট জিতেছি। যদিও আমি মানি যে এভারটনই বড় সুযোগগুলো পেয়েছিলো। ম্যাচে দলের মানসিকতাটা ভালো লেগেছে। শুধু ছন্দটাই যুতসই ছিল না।’
‘রক্ষণে কিছু ভুল ছিলো। কিন্তু আক্রমণে আমাদের আরও সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। আমি জানি আমরা ভালো ফুটবল খেলতে পারি। আজকের পারফর্ম্যান্সটা চলনসই মানের ছিলো।’
এভারটনকে অকপটে ম্যাচের সেরা দল মেনে নিয়ে ক্লপ বলেন, ‘প্রতিপক্ষকে সম্মান দিতে হবে আমাদের। এভারটন আমাদের জীবন দুর্বিসহ করে দিতে তৈরি ছিলো। তাদের সে মান ছিলো, আর ম্যাচটা জিততেও পারতো!
‘কিন্তু দিনশেষে ড্র-টা ন্যায্য ফলাফলই! আমি কার্লো অ্যানচেলত্তিকেও এমনটা বলতে শুনেছি।’
পরবর্তী ম্যাচের আগে বিরতি খুব কম পাচ্ছে লিভারপুল। ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে মাঠে নামতে হবে তিন দিন পরেই! এরপর ম্যানচেস্টার সিটি ম্যাচের আগে অবশ্য এক সপ্তাহের ‘বিশাল’ একটা বিরতি পাচ্ছে ক্লপের শিষ্যরা।